বছরের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আবারও স্পষ্ট অবস্থান জানালেন মালাইকা আরোরা। দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নানা জল্পনা চললেও সেসব আলোচনার ইতি টানলেন তিনি নিজেই। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, বিয়ে খারাপ কোনও বিষয় নয়, তবে সেই পথ তাঁর জন্য নয়।
১৯৯৮ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন মালাইকা। দীর্ঘ দাম্পত্যের পর ২০১৬ সালে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে। তাঁদের একমাত্র পুত্র আরহানের দায়িত্ব আজও দু’জন মিলেই সামলান। বিচ্ছেদ হলেও সন্তানের মা-বাবা হিসেবে সম্পর্কের জায়গাটি অটুট রেখেছেন তাঁরা।
মালাইকার কথায় উঠে এসেছে বিচ্ছেদের পরের কঠিন বাস্তবতাও। সমাজ ও পরিবারের একের পর এক প্রশ্ন তাঁকে বারবার বিদ্ধ করেছে। এত বছরের দাম্পত্য কেন ভাঙল, সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবু বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই বলেই জানালেন তিনি। তাঁর মতে, সব সম্পর্ক পরিকল্পনামতো এগোয় না, আর সেটা মেনে নেওয়াই বাস্তব।
তিনি জানান, বিচ্ছেদের আগে সম্পর্ক বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন দু’জনেই। সমস্যা মেটানোর পথ খুঁজেছেন, ফের একসঙ্গে থাকার কথাও ভেবেছেন। কিন্তু একটা সময় গিয়ে দু’জনেই বুঝেছিলেন, এই সম্পর্ক আর এগোনোর নয়। মলাইকার ভাষায়, অন্যকে সুখী করার আগে নিজেকে সুখী রাখা জরুরি। যে বিয়েতে তিনি নিজেই ভালো ছিলেন না, সেখানে টিকে থাকার অর্থ তিনি খুঁজে পাননি।
এই সিদ্ধান্তের পর তাঁকে স্বার্থপর বলেও আক্রমণ করা হয়েছিল। তবে সেসব মন্তব্যে কান না দিয়ে নিজের মনের কথাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস, নিজের জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার সবারই আছে। নিজের সুখকে গুরুত্ব দেওয়াটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে জরুরি ছিল।
মালাইকা স্পষ্ট করেই বলেছেন, বিয়ে করে দেখেছেন, সম্পর্কে থেকেও দেখেছেন। বিয়ে খারাপ এমনটা তিনি মনে করেন না। তবে বর্তমান জীবনে তিনি যেভাবে আছেন, তাতেই স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময়ই ঠিক করবে, কিন্তু আপাতত বিয়ে তাঁর জীবনের প্রয়োজন নয় এই বার্তাই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
আরপি/এসএন