আমের মুকুল ঝরা প্রতিরোধের উপায়

আমাদের দেশে আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এই আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। সাধারণত মার্চ মাসের দিকে আম গাছে মুকুল আসা শুরু করে। আমের মুকুলের মধ্যে থাকে হাজার হাজার ফুল। এই মুকুল থেকেই আমের গুঁটি জন্মায়। কিন্তু আম গাছে গুটি আসার পর নানা কারণে তা ঝরে যায়। তাই এসব কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে চাষিদের জেনে রাখা দরকার।

চলুন জেনে নিই মুকুল ঝড়ে পরার কারণ

  • প্রাকৃতিক কারণ যেমন বৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, শিলা বৃষ্টির জন্য মুকুল ঝড়ে পরে।
  • মাটিতে রসের অভাব হলে আমের মুকুল ঝড়ে পরে যায়।
  • হপার পোকার আক্রমণ মুকুল ঝড়ে পরার একটি অন্যতম কারণ।
  • আমের মুকুলে অ্যানথ্রাকনোজ রোগ হয়ে থাকে। এই রোগের ফলেও আমের মুকুল ঝড়ে পড়ে।

এবার জেনে নিন, আমের মুকুল ঝড়ে পরা রোধে করণীয়

  • আমবাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আগাছামুক্ত ও খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে। মরা ডালপালা ছেঁটে ফেলতে হবে। রোগাক্রান্ত ডাল, পাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া গাছের নিচ থেকে মরা পাতা কুড়িয়ে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
  • শীতের পর গরম শুরু হয়। এই সময়টাতে আম গাছের প্রচুর পানির প্রয়োজন পরে। তাই গাছের গোঁড়া যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পায়, তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • ফুল থেকে যখন ফল মটর দানার মতো হবে তখন হপার পোকা দমনের জন্য স্প্রে করতে হবে। সাধারণত মুকুল আসার আগে হপার পোকার জন্য স্প্রে করতে হয়। হপার পোকার জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লেবাসিড ৫০ ইসি চা-চামচের ৪ চামচ ৮.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর দু’বার স্প্রে করতে হবে। অথবা ম্যালাথিয়ন বা এমএসটি ৫৭ ইসি উপরোক্ত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।
  • সালফার জাতীয় কীটনাশক আমের গুটিতে স্প্রে করতে হবে, যাতে ছত্রাক আক্রান্ত করতে না পারে। অথবা প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে ম্যানক্রোজেন নামক ছত্রাকনাশক মিশেয়ে স্প্রে করতে হবে।
  • আম যখন মারবেলের মতো ছোট ফল হবে তখন প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

লক্ষ্য রাখতে হবে, গাছে যখন ৫০% ফল ধরবে তখন কোনো প্রকার স্প্রে করা যাবে না। আম গাছে মুকুল আসার আগে স্প্রে করা যেমন জরুরি না, তেমনি মুকুল ফোটার পর স্প্রে করার জরুরি নয়। কেননা এই সময় অনেক উপকারী পোকারা পরাগায়নের জন্য আসে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চলে গেলেন বিমান বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব আলী Dec 17, 2025
img
ফিফা বর্ষসেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ও হান্নাহ হ্যাম্পটন Dec 17, 2025
img
চাঁদপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মানিক Dec 17, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় শুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার Dec 17, 2025
img
চব্বিশের আন্দোলনকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা: শারমীন মুরশিদ Dec 17, 2025
img
ওসমান হাদীকে হত্যাচেষ্টা : ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি Dec 17, 2025
img
পুরনো অপর্ণা দিতিপ্রিয়াকে কটাক্ষ, বাড়াবাড়ি করে ফেললেন জিতু? Dec 17, 2025
img
নাঈম শেখের দুর্দান্ত ইনিংসে মিরাজের দলের কাছে হারল শান্তরা Dec 17, 2025
img
জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির হামলা, আহত অন্তত ১২ Dec 17, 2025
img
গ্রিনের পর পাথিরানাকেও দলে টানল কলকাতা Dec 17, 2025
img
এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত ও পাকিস্তান Dec 17, 2025
img
ফিফা দ্য বেস্ট ফুটবলার পুরস্কার জিতলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে Dec 17, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলি : মূল অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা গ্রেপ্তার Dec 17, 2025
img
হাদির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট এবং ভুয়া নাম্বার প্লেট উদ্ধার করেছে সিটিটিসি Dec 17, 2025
img
জামায়াতে ইসলামীতে রাজাকার ছিল ৩৬ জন: দেলাওয়ার হোসেন Dec 17, 2025
img
'রাজাকার’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির হামলা, অভিযোগ জামায়াতের Dec 17, 2025
img
কলকাতা দলের পার্ট হতে পেরে আমি খুবই খুশি ও আনন্দিত, সি ইউ সুন: মুস্তাফিজ Dec 16, 2025
img
এবারের আইপিএল নিলামে মুস্তাফিজসহ দামি ১০ ক্রিকেটার Dec 16, 2025
img
হাদিকে লম্বা সময় আইসিইউতে থাকতে হতে পারে: ডা. রাফি Dec 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

‘হাদির ওপর হামলা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা’ Dec 16, 2025