প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে রোগীদের কাছে গিয়ে যখন চিকিৎসা করা দায়, তখন ইতালি ও চীনসহ কয়েকটি দেশে ডাক্তারদের সহায়তায় রোবট চিকিৎসক ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব রোবট চিকিৎসক রোগীর পালস পরীক্ষা করে দেখছে। কখনো আবার ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে রোবটায়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও একদল তরুণ প্রকৌশলী দাবি করেছেন, তাদের তৈরি রোবট করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে ডাক্তারদের সহযোগিতা করতে সক্ষম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এগিয়ে আসছে রোবট যুগ। ভবিষ্যতে মানুষের সব কাজ করবে রোবট। ভালো হোক কিংবা মন্দ, মানুষের জায়গা দখল করবে কৃত্তিম বুদ্ধিমান এই যন্ত্র। শুরু হবে এক নতুন যুগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের মতো সংকট এটাই শেষ নয়। সামনে এ রকম আরও সংকট আসছে। পৃথিবী ক্রমেই রোবট নির্ভর হয়ে উঠছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট বিশেষজ্ঞ মার্টিন ফোর্ড বলছেন, মানুষ স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের কাজের জন্য মানুষের সংস্পর্শ পছন্দ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে মানুষের সেই পছন্দ বদলাচ্ছে।
তিনি জানান, করোনার থাবায় মানুষ মানুষের স্পর্শ এড়িয়ে স্বয়ংক্রিয় সবকিছুর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। বড়-ছোট সব সংস্থাগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং যাতে কমসংখ্যক কর্মী দিয়ে কাজ করা যায়, তাই ভরসা রাখছেন রোবটে।
রোবট ব্যবহারের ফলে এই সময়ে কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণেরও সুযোগ নেই। অন্যদিক, কম সময়ে বেশি কাজ করা সম্ভব। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সামাজিক দূরত্বের (সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং) চর্চা গিয়ে রোবটের ব্যবহার বাড়ানোর চিন্তা করছে।
টাইমস/জিএস