ঘূর্ণিঝড় আম্ফান: খুলনায় বিপৎসীমার উপরে পানি

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে খুলনার অধিকাংশ বড় নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বসতভিটা ও খেত নদীর পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। জেলায় কয়রায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে মাছের অনেক ঘের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলে আঘাত হানার আগেই খুলনার নদ-নদীতে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পশুর নদীতে পানি প্রবাহের মাত্রা ছিল দুই দশমিক ৭৯ মিটার। এ নদীর স্বাভাবিক মাত্রা দুই দশমিক ৪৪ মিটার। বুধবার তা বেড়ে হয়েছে তিন দশমিক ৩৭। খুলনার সবচেয়ে বড় নদী শিবসার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকে দুই দশমিক ৫৯। বুধবার সেখানে প্রবাহিত হচ্ছে তিন দশমিক ৩৭। ফলে এখানকার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সকালের জোয়ারে দাকোপের কামারখোরা ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ড এর শিবসা নদীর পাশে নলিয়ানের ও কালাবগির পাশে ঝুলন্তপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গা তলিয়ে গেছে।

খুলনার রূপসা নদীতে পানির উচ্চতা ছিল দুই দশমিক ৫২ মিটার। এ নদীতে বিপৎসীমার মান ধরা হয় তিন দশমিক শূন্য পাঁচ মিটার।

কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের কয়েক জায়গা দিয়ে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। স্থানীয় মানুষ বেড়িবাঁধের উপর মাটি দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেছে। তবে রাতের জোয়ারে অথবা আজকের আমাবস্যার জোয়ারে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

কয়রা সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, দুপুরের জোয়ারে বেদকাশীর কাটকাটা গ্রামের পাশ দিয়ে বাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। পরে স্থানীয়রা মাটি দিয়ে পানি আটকায়। তবে জলোচ্ছ্বাস আসলে এ বাঁধ টিকবে না।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, কয়রা বাদে অন্যান্য উপজেলার বেড়িবাঁধ অতটা নাজুক নয়। জলোচ্ছ্বাস না হলে বাঁধের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। গেল জোয়ারে নদীতে পানি বেড়েছে এবং পানির চাপ খুব বেশি বেড়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: