আচার কি স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর এ নিয়ে রয়েছে নানান তর্ক বিতর্ক। তবে এক বিষয়ে সবাই একমত যে, আচার আমাদের সবার জিভেই জল আনে।
আমাদের সমাজে আচার খাওয়ার রীতি প্রাচীন। ঝাল কোনও খাবারের সাথে, বা এমনিতেও অনেকে আচার খেতে ভালবাসেন।
প্রচুর পরিমাণে তেল আর অতিরিক্ত লবণ থাকার কারণে বাড়িতে তৈরিকৃত আচারও অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। তারপরেও বাড়িতে তৈরি আচারে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য গুনাগুণ। এগুলো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি।
আচার ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার একটি দুর্দান্ত উৎস। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত তেল ও লবণের ব্যবহার আচারকে অস্বাস্থ্যকর করে তুলে, যা স্বাস্থ্যের জন্য আশঙ্কা জনক।
আচার লবণ ও তেল দিয়ে পূর্ণ থাকে। তেল, লবণ ছাড়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো বংশ বিস্তার করতে পারে না। অর্থাৎ আচার থেকে সব সুবিধা একবারে পাওয়া সম্ভব না।
আচারে থাকা লবণের ফলে রক্তচাপ সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ব্যায়ামের অভাব, নিদ্রাহীনতা, প্যাকেটকৃত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ ইত্যাদি সামগ্রিক অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে রক্তচাপ সমস্যা হতে পারে। তাই আচারে সাধারণ লবণের পরিবর্তে জাডা সল্ট বা হিমালয়ান নুন ব্যবহারের করা যেতে পারে।
আবার আচারে থাকা তেল হার্টের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। চর্বি বা তেল খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা হয়। কাঁচা ঘানি কাঠবাদামের তেল, সরিষা বা তিলের তেল ব্যবহারের করা যেতে পারে।
আচারের কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য গুনাগুণ
আচার ভিটামিন, খনিজ এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ। রক্তশূন্যতা, ফোলাভাব, ভিটামিন ডি এবং বি-১২ এর ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিদিন এক বা দুই চামচ আচার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আচার আন্ত্রিক সমস্যা (পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য) নিরাময় করতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র:দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/তরী/এনজে