পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়

সব মহিলাই জীবনে কম-বেশি পিরিয়ডের ব্যথায় ভুগে থাকেন। তবে অনেক সময় পিরিয়ডের ব্যথা সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে অনেকের জন্যই এ সময় দৈনন্দিন কাজ-কর্ম থেকে বিরতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত ব্যথা বা মাঝারি পরিমাণের ব্যথা স্বাভাবিক এবং এটি খুব একটা উদ্বেগের বিষয় নয়। তবে তীব্র ব্যথা হলে এবং প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার সময় ব্যথা অনুভূত হলে তা আয়রনের ঘাটতির মতো অন্তর্নিহিত কোনো স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন যে, মাঝারি এবং পুনরাবৃত্ত পিরিয়ডের ব্যথা কিসমিস, কেশর এবং ঘি জাতীয় রান্নাঘরের সহজ উপাদানের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মোকাবেলা করা যেতে পারে।

দিনের শুরুতে ভেজানো কিশমিশ এবং কেশর খান

রাতে বাটিতে কিসমিস এবং কেশর বা জাফরান ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে সেগুলো খেয়ে নিন। এটি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কার্যকর একটি উপায়।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দিভেকারের মতে, “এগুলো পিরিয়ডের ব্যথা এবং ফোলা হ্রাসের জন্য সবচেয়ে কার্যকর খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে। একই সাথে কিসমিস ও কেশর বা জাফরান কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণেও সহায়তা করে।”

কন্দ জাতীয় শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

কন্দ জাতীয় সবজি যেমন মিষ্টি আলু, গাজর, আলু প্রভৃতি সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পলিফেনল এবং প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান হরমোন জাতীয় পদার্থ রয়েছে যা পিরিয়ডের জটিলতা দূর করতে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

নিয়মিত তাজা ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন

প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে তাজা ফল বা কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর ফলে আপনার রাতের খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যাবে। ফলস্বরূপ আপনার ঘুম ভাল হবে এবং ঘুম থেকে উঠে তরতাজা অনুভব করবেন। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন বি রয়েছে।

কলা খাওয়া ছাড়াও আপনি কলার মোঁচা খেতে পারেন, এর অনেক ওষধি গুণ রয়েছে।

ধনিয়া বীজ

পিরিয়ডের জটিলতা নিরাময়ে ধনিয়া বীজ বেশ কার্যকর। এটি ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। ধনিয়া বীজের সাথে নারকেল এবং গুড় মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করতে পারেন। ধনিয়া বীজ, শুকনো নারকেল এবং গুড় পিরিয়ডের ব্যথা এবং অন্যান্য জটিলতা দূরে রাখতে সহায়তা করবে।

এছাড়াও প্রতি বেলায় খাবারের সাথে এক চামচ ঘি খেতে পারেন। এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করবে এবং ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর সংমিশ্রণে সহায়তা করে।

দিভাকরের মতে, “এই জাতীয় খাদ্য প্রাথমিকভাবে পিরিয়ডের সময় ব্যথা হ্রাস করতে কার্যকর। কারণ এগুলো বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।”

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

টাইমস/এনজে

Share this news on: