আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সহকারী প্রক্টর, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে। এছাড়া ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটিও করেছে।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষই রামদা, ছুরি ও হকিস্টিক নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটে। আর মারামারিতে দুই সাধারণ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে বেশির ভাগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হেলমেট পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অংশ নেন।
শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সহকারী প্রক্টর শাহীন আলম ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।
এ সময় প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ ক্যাম্পাসে থাকলেও সংঘর্ষ থামাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময়ে পুলিশকে নিশ্চুপ ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে।
তবে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাস ছুটি হলে পরিবেশ পুরোপুরি শান্ত হয়।
জানা গেছে, প্রেমঘটিত কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মী তুহিনকে মারধর করে সভাপতি পক্ষের কর্মীরা।
পরে সম্পাদকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভাপতি পক্ষের কর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের নয়ন ও রিফাতকে মারধর করেন। এর জের ধরে রোববার সকাল ১১টা থেকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক সিদ্ধান্ত নিতে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, পূর্বের একটি ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।
কোতয়ালী থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
টাইমস/টিআর/এক্স