মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা

দেশের কল্যাণ, দুনিয়া-আখেরাত ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪৭ মিনিট থেকে ১২টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মুহাম্মদ শামীম।

মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশ্ব ইজতেমা শেষ হল।

এ দিন আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকেই লাখো মুসল্লি হেঁটে, ট্রেনে, ট্রাক-বাস-পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চল থেকে ইজতেমা ময়দানে সমবেত হন।

ইজতেমাস্থলে মুসল্লিরা ইসলামের আমল, আকিদা ও দাওয়াত বিষয়ে দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বয়ান শুনেন।

এর আগে শনিবার ঢাকার কাকরাইল মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ জোবায়ের পরিচালনায় তাবলিগ জামাতের দেওবন্দপন্থিদের ইজতেমা শেষে রোববার সকালে দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের সম্মিলন শুরু হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের ইজতেমা সোমবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ায় প্রথম দিনের কর্মসূচি বিঘ্নিত হওয়ায় আখেরি মোনাজাত এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার বাদ ফজর থেকেই ইজতেমা ময়দানে শুরু হয় ধর্মীয় বয়ান।

বাদ ফজর বয়ান করেন দিল্লির হজরত মাওলানা মুরসালিন। বাংলায় তরজমা করে শোনান বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর। জোহর থেকে মাগরিব পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের শীর্ষ পর্যায়ের মুরব্বি দিল্লির হজরত মাওলানা শাহজাত, বাংলাদেশের মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও মাওলানা শওকত হোসাইন বয়ান করেন।

ঘন কুয়াশা, কনকনে শীতের মধ্যেই তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মুসল্লিদের নফল নামাজ, তাসবিহ তাহলিল, জিকির-আজগারের মধ্য দিয়ে সোমবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়।

তাবলিগের এই অংশের মুরুব্বি মাওলানা মো. আশরাফ আলী জানান, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীনসহ ৩৬টি দেশের সহস্রাধিক মেহমান এবারের ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাজা সিটিতে জাতিসংঘের ১০টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল Sep 15, 2025
img
রামেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল ১ জনের, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৩ Sep 15, 2025
img
ফিফার কাছে রেফারিদের বিরুদ্ধে নালিশ করবে রিয়াল মাদ্রিদ Sep 15, 2025
img
সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস Sep 15, 2025
img

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

আহত ও শহীদ পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ Sep 15, 2025
img
পুলিশে ফের বড় রদবদল Sep 15, 2025
img
আফতাবনগর-বনশ্রীতে ৩ সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Sep 15, 2025
img
ভুল করলে যৌক্তিক সমালোচনা করতেও ছাড়বেন না : হামিম Sep 15, 2025
img
শুল্ক না কমালে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে উঠবে ভারতের Sep 15, 2025
img
সরকারি চাকরিজীবীদের পে-স্কেল নিয়ে নতুন নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার Sep 15, 2025
img
দেড় মাসে ১১৩ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক Sep 15, 2025
img
তরুণরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যা অমীমাংসিত থাকতে পারে না : প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img
বলিউড দুনিয়ার কালো অধ্যায় সামনে আনলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া Sep 15, 2025
img
ডিজিটাল লেনদেনে কমবে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার : গভর্নর Sep 15, 2025
img
জামায়াতে ইসলামীর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা Sep 15, 2025
img
ভারতের আচরণ স্পোর্টসম্যানশিপের পরিপন্থী : মহসিন নাকভি Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আবারও দুই মহাসড়ক অবরোধ Sep 15, 2025
img
গুরুতর অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা Sep 15, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের মৌলিক রদবদল করার ম্যান্ডেট রাখে না : জিল্লুর রহমান Sep 15, 2025
img
ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোর নেপথ্যে গম্ভীর Sep 15, 2025