বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্তি মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
এরশাদ হোসাইন দিনাজপুরের সরকারপাড়া গ্রামের মো: রিয়াজুল ইসলামের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার তুলশীপাড়ার মৃত আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার প্রকাশ ফুয়াদ (২৬), ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো: সুজন (২৪) ও কর্ণফুলী থানার ইছানগরের আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকন (৩৫)।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক শরীফুল আলম ভুঁঞা পর্যবেক্ষণে বলেন, অভিযোগ ছিল একজনের বিরুদ্ধে, যে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেএমবি সদস্যদের অবস্থানের তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বোমা তৈরির সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার তারিখ রাখে আদালত। সেদিন যুক্তি-তর্ক শুনানিতে নিজেদের নিদোর্ষ দাবি করেছিল আসামিরা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে নগরের আকবরশাহ থানার এনআর স্টিল মিলের সামনের একটি ভাড়া করা ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আসামি এরশাদ হোসাইনকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় এরশাদের নাম উল্লেখ এবং দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এরপর একই বছরের শেষের দিকে নগরের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে বুলবুল আহমেদ, মো: সুজন ও মাহাবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে আকবর শাহ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে আকবর শাহ থানা পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন হয়।