ঢাকায় নজর কাড়ছে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল। আর মাত্র ৩ মাস পরেই যাত্রীদের জন্য খুলে দেয়া হবে নতুন এই বিমানবন্দর কাঠামো। অক্টোবরে উদ্বোধন। এজন্য হরদম চলছে কাজ। ভেতরে সাজসজ্জার কাজ চলছে। সিলিং দৃষ্টিনন্দন করতে লাগানো হচ্ছে শাপলা আকৃতির নান্দনিক শেড।
২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, উড়োজাহাজ রাখার ৩৭টি পার্কিং বে, ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার থাকবে।
টার্মিনালের সঙ্গে মাটির নিচ দিয়ে টানেলের বিমানবন্দর সড়কও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলে সংযোগ ঘটবে।
এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার এখানে।
এখন প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিংগাপুরের চাঙ্গি, কাতারের হামাদ বিমানবন্দরে মত সুবিধা চালু হচ্ছে এই নতুন স্থাপনার ভেতরে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই থার্ড টামিনাল চালু হলে পাল্টে যাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র। দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে নবদিগন্তের সূচনা হবে।
দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে।
জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে এই তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে। তিন তলার এ টার্মিনাল ভবনের আয়তন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার, লম্বা ৭০০ মিটার এবং চওড়ায় ২০০ মিটার। অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিৎসুবিসি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজ করছে। থার্ড টার্মিনালের নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন, যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্ব দরবারে খ্যাতি কুড়িয়েছেন।