বাড়ছে যমুনার পানি, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে পানি নেমে আসায় গত কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও ফসলী জমি। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।

গত দুই দিনে শাহজাদপুর উপজেলা কৈজুড়ী ইউনিয়নের হাটপাচিল এলাকায় নদী ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন।

এ ছাড়া, ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি, বসতভিটা ও ফসলি জমি। এসব বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। যমুনা গর্ভে সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে অন্যের জমিতে বাস করছেন।

এদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ, হুড়াসাগর, করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীতে পানি বাড়ছে। তবে, নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ১ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

যমুনা নদীর পানি আরও দু-তিন দিন বাড়তে পারে বলে জানিয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, ‘যমুনার পানি আরও দুই থেকে তিন দিন বাড়তে পারে। এবার যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে গেলেও অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই।’

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। এতে কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে শাহজাদপুর উপজেলার পাচিল পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ ছাড়া, চৌহালীতে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ টাম্পিং করার কাজ চলছে।’

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সূর্যসন্তানদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ: জাহিদ এফ সরদার সাদী Jul 17, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রসহ ৬ দফা দাবিতে জুলাই ঐক্যের কফিন মিছিল Jul 17, 2025
img
মুক্তি পেল ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র ট্রেলার, কবে আসছে এই ছবি? Jul 17, 2025
img
গুটখা খেতে দেখে পাপারাজ্জিকে ধমক দিলেন শিল্পা শেট্টি! Jul 17, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে মূল ভূমিকা ছিল তারেক রহমানের: টুকু Jul 17, 2025
img
নীলফামারী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অবরোধের মুখে ২ উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
টেকসই আর্থিক কার্যক্রমে শীর্ষে ১০ ব্যাংক ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান Jul 17, 2025
img
অ্যাতলেটিকোয় যোগ দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার থিয়াগো আলমাডা Jul 17, 2025
img
'নিজের এবং দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল'- সিরিজ জয়ের পর লিটন Jul 17, 2025
img
কক্সবাজারে আহত ছাত্রদল নেতা অভির পাশে বিএনপি Jul 17, 2025
img
১৬ জুলাইতেই কেন এনসিপিকে গোপালগঞ্জে যেতে হল?- প্রশ্ন মাসুদ কামালের Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আরেক যুবক ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় সিলেটে এনসিপির ব্লকেড কর্মসূচি Jul 17, 2025
img
মেহেদীর বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন আসালাঙ্কা Jul 17, 2025
img
সড়কে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ Jul 17, 2025
img
কলম্বোতে মেহেদীর খেলার বিষয়টি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন লিটন Jul 17, 2025
img
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে, তাঁর বাবা এ বিচার দেখে যেতে পারবেন: আইন উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং Jul 17, 2025
img
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন রাসেল Jul 17, 2025