ভাসমান মন্ডপ দেখতে উপচে পরা ভীড়




রংপুরে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ভাসমান মণ্ডপে আয়োজন করা হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা।

রংপুরে মহানগরীর সাতগাড়া চড়কবাড়ী পূর্বপাড়া এলাকার দূর্গা মন্দিরের সভাপতি ভবানী কুমার রায়ের পুকুরে সাতগাড়া স্মৃতি সংঘের আয়োজনে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব।

শুধু নগরী নয় শহরের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকাল থেকে রাত অবধি উপচে পড়া ভীড় করছেন এই মণ্ডপ দেখতে।

ভাসমান পুজা মণ্ডপের উপরে স্থাপন করা হয়েছে শিব ভোলানাথের প্রতিমা। এছাড়াও জমকালো লাইটিং ও পানির নজরকাড়া ফয়োরায় শারাদীয় দুর্গা পুজোর আয়োজন কে রঙিন করে তুলেছে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক-ঢলের বাজনা সেই সাথে ফুল, ধূপ ও আগরে ছড়াচ্ছে সৌরভ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সী পুণ্যার্থী প্রতিমার সামনে আসছেন। খালি পায়ে করজোড়ে দেবীকে প্রণাম করছেন।দেব-দেবীর কাছে প্রণামের সময় অনেকেই মনের বাসনাও প্রকাশ করছেন। 

মণ্ডপ দেখতে আসা মিতালি রানী বলেন,শহরের অনেক পূজা মণ্ডপ ঘুরেছি।পরে জানতে পারলাম এখানে ভাসমান মণ্ডপ বানানো হয়েছে।দেখে অনেক ভালো লাগছে।এটা এক ধরনের আলাদা উদ্যোগ। 

সুকান্ত দাস নামে আরো এক যুবক বলেন,পূজায় প্রতিটা মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখা হয়।আজকে এখানে আসলাম।সুন্দর করে সাজানো হয়েছে চারদিকটা। মায়ের কাছে(দেবী) মনের কথা বললাম,পুজো দিলাম এখন ঘুরছি চারদিকটা।ভালোই লাগছে।

সাতগাড়া চড়কবাড়ী পূর্বপাড়া দূর্গা মন্দিরের সভাপতি ভবানী কুমার রায় জানান,সবার সহযোগিতা পেলে প্রতি বছরই এমন আয়োজন করা সম্ভব। গত কয়েক বছরে করোনার কারণে সেভাবে আয়োজন করা হয়ে উঠেনি।আর ১৭ বছর পর এই ভাসমান মন্ডপ করা হয়েছে।সবার সহোযোগিতায় সামনের বছর আরো বড় আয়োজন করতে চাই।
তিনি আরো বলেন,সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই আসছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানান ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।আশা করছি কারো সমস্যা হবেনা।


উল্লেখ্য, ১৭ বছর পর আবারো ব‍্যতিক্রম ধর্মী ভাসমান পুজা মন্ডপ তৈরি করলো রংপুরের সাতগাড়া স্মৃতি সংঘ।
মন্দিরের চারদিকে সাদা পোশাকে গোয়ান্দা সহ পুলিশ পাহারায় রয়েছে পুরো মণ্ডপ প্রাঙ্গন।


Share this news on:

সর্বশেষ

img
কাবার আকাশে বিরল দৃশ্য, ঠিক ওপরে এলো চাঁদ Sep 13, 2025
img
ফাইয়াজের মতো শহীদদের স্মরণে নতুন করে দেশ গড়ব : শারমীন এস মুরশিদ Sep 13, 2025
img
৩৭ ঘণ্টা পরও মেলেনি জাকসুর ফলাফল, প্রকাশ হতে পারে দুপুরে Sep 13, 2025
img
প্রেমের বিয়ে, গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠানে প্রাণ হারাল বর Sep 13, 2025
img
আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, এক সপ্তাহে মৃত্যু ১৫ Sep 13, 2025
img
হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে জাতিসংঘের নতুন প্রস্তাব পাস Sep 13, 2025
img
১৩ সেপ্টেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Sep 13, 2025
img
রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিক্ষোভকারীদের কবলে ট্রাম্প Sep 13, 2025
img
লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর হামলার চেষ্টা Sep 13, 2025
img

স্বীকার ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধানের

গাজার ১০ শতাংশ মানুষ আহত বা প্রাণ হারিয়েছে Sep 13, 2025
img
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন তামান্না ভাটিয়া! Sep 13, 2025
img
আওয়ামী লীগের নির্বাচন ভন্ডুলের ষড়যন্ত্রে সতর্ক থাকতে হবে : ড. ফরহাদ Sep 13, 2025
img
ঢাবি শিক্ষক মোনামী ও ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিনকে নিয়ে অপপ্রচার Sep 13, 2025
img
বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম এআই-মানবীকে মন্ত্রী বানালো আলবেনিয়া! Sep 13, 2025
img
আগারগাঁও থেকে তালিকাভুক্ত চাঁদাবাজ স্মার্ট হাসান গ্রেপ্তার Sep 13, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতকে চিন্তিত হতে হবে: হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা Sep 13, 2025
img
আগামী বছর ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে : প্রেস সচিব Sep 13, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন মানব না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ Sep 13, 2025
img
শ্রোতাদের ভোটে শীর্ষে অরিজিৎ সিংহের ‘তুম হি হো’ Sep 13, 2025
img
জাকসু নির্বাচন: ফলাফলের অপেক্ষায় ক্লান্ত শিক্ষার্থীরা Sep 13, 2025