এ বিজয় আমার নয়, এ বিজয় জনগণের : শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আগে কখনও এত আগ্রহ দেখিনি। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয়।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। এবারের নির্বাচন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে আগে কখনো এত আগ্রহ দেখিনি। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এটা জনগণের বিজয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাবা যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, আমাকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বেঁচে যাই। ছয় বছর আমরা রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন। ১৯৮১ সালে আমাকে দেশে আনে। মিলিটারি ডিক্টেটররা দলকে রাজনীতি করতে দেয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের ক্ষমতায় বসায়। ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরি। আমার লক্ষ্য ছিল, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার চলার পথ সহজ ছিল না। মৃত্যুকে বারবার কাছে থেকে দেখেছি। বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করি। ২১ বছর পর সরকার গঠন করে মানুষের জন্য কাজ শুরু করি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না। তারা যা করছো সেটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছুই না, তারা কখনই গণতান্ত্রিক কোনো দল না।

এ সময় ড. ইউনূসের সাজার ব্যাপারে সরকারপ্রধান বলেন, লেবার আইনের মামলায় ড. ইউনূসের সাজা আইনি প্রক্রিয়ায় হচ্ছে সেখানে সরকারের কিছু করার নাই।

বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার জন্য তিনি নিজের, পরিবার ও দেশের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, আমাদের দেশের কথা বলবেন। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর।

এ সময় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুলসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।                                           

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গ্রিসের মাইগ্রেশন মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 17, 2025
img
চলতি বছরে ডিএসইতে প্রথমবার লেনদেনের পরিমাণ ছাড়ালো ৭০০ কোটি টাকা Jul 17, 2025
img
রাজনীতিতে শিষ্টাচার শুধু বিএনপির মধ্যেই আছে : আমিনুল হক Jul 17, 2025
img
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেন বিএনপি নেতা Jul 17, 2025
img
বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দীন Jul 17, 2025
img
ক্যাটরিনাকে হেয় করতে ভিডিওটি প্রকাশ করিনি : জেরিন খান Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি ঢাবি সাদা দলের Jul 17, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঝড়ের আভাস Jul 17, 2025
ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জ Jul 17, 2025
img
এনসিপির পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদ বাসদের Jul 17, 2025
img
দাম্পত্য জীবন মোটেই সুখের নয়, কিরণকে অনেক কষ্ট দিয়েছি : অনুপম খের Jul 17, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষ কারিগরি কমিটি ইসির Jul 17, 2025
img
দুই মাসের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানে কমিটি দেবে ছাত্রদল : নাছির Jul 17, 2025
img
এনসিপির ওপর হামলা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না : এবিএম মোশাররফ Jul 17, 2025
img
জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করল নিউজিল্যান্ড Jul 17, 2025
img
সূর্যসন্তানদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ: জাহিদ এফ সরদার সাদী Jul 17, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রসহ ৬ দফা দাবিতে জুলাই ঐক্যের কফিন মিছিল Jul 17, 2025
img
মুক্তি পেল ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র ট্রেলার, কবে আসছে এই ছবি? Jul 17, 2025
img
গুটখা খেতে দেখে পাপারাজ্জিকে ধমক দিলেন শিল্পা শেট্টি! Jul 17, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে মূল ভূমিকা ছিল তারেক রহমানের: টুকু Jul 17, 2025