গরমে কি খাবেন, কি খাবেন না

গরমে সবাই অস্থির। কিছুতেই যেন আরাম নেই, তা পোশাক, সাজ-সজ্জা হোক আর খাবারই হোক। ভয়াবহ এই গরমে বিভিন্ন রোগ বালাই লেগেই থাকে। তাই সব দিক থেকেই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রচণ্ড গরম শুধু অস্থিরতারই কারণ না, এর সঙ্গে আমাদের এনার্জি লেভেলও কমিয়ে দেয়। এনার্জি লেভেল বাড়াতে খাদ্যের তালিকা ঠিক করতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ এ গরমে অনেক খাবারই উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। তাই চলুন জেনে নেই এই গরমে কি খাবেন আর কি খাবেন না।

কি খাবেন

বিশুদ্ধ পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও কর্মক্ষম নারী-পুরুষের প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।

নানা রকমের ফল: গ্রীষ্মের সময় বিভিন্ন মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে আম, কমলা, তরমুজ ইত্যাদি জাতীয় রসালো ফল তীব্র গরমের জন্য খুবই উপকারী। তবে যে কোনো ফল খাওয়ার আগে বাসায় এনে ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।

ফলের জুস ও শরবত: ফল অনেকেই খেতে চায় না। অথচ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ওজন কমাতে ফল যে অত্যন্ত উপকারী তা কে না জানে। ফল খেতে সমস্যা হলে তা জুস করে খেতে পারেন। তবে দোকান থেকে কেনা নয়, অবশ্যই বাড়িতে বানানো ফ্রেশ জুস খান। এর রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ।

এছাড়া গরমে ঘরের তৈরি স্যালাইন, ডাব, বেলের শরবত খেতে পারেন। এছাড়া পানীয় হিসেবে টক দই দিয়ে লাচ্ছি অথবা ইসবগুলের ভুসিও খেতে পারেন।

দই চিড়া: এই গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে একটু প্রশান্তি পাওয়ার জন্য গরমের খাবার হিসেবে দই চিড়ার কোনো জুড়ি নেই। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পেটের পীড়ার জন্যও স্বস্তিদায়ক খাবার দই চিড়া। রেসিপির ভিন্নতায় সামান্য দই চিড়াও দিতে পারে অসামান্য স্বাদ, গরমে দিতে পারে স্বস্তি।

কি খাবেন না

প্রথম ও প্রধান সাবধানতা হল- বাইরের খোলা জায়গার পানি, শরবত, আখের রস খাওয়া পরিহার করা। এগুলো গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয় হয়। এতে আপনার আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।

অতিরিক্ত মসলা: খাবারে অতিরিক্ত মসলা ও মসলাজাতীয় উপকরণ শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে গরমের সময় খাবারে অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার পরিহার করা উচিত।

তৈলাক্ত ফাস্ট ফুড: গরমের সময় মাংসের তৈরি বার্গার, কাবাব, ফ্রাইসহ অন্যান্য তেলজাতীয় ফাস্টফুড ও খাবার পরিহার করলে ভালো থাকবেন।

সস: বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ায় সস। কিন্তু সুস্থতার জন্য গরমের সময় পনিরজাতীয় সস এড়িয়ে চলাই উচিত। কারণ এতে প্রচুর ক্যালোরি ও লবণ থাকে।

অতিরিক্ত চা-কফি: চা ও কফি শরীরের তাপ বাড়ায়। তা ছাড়া গরমে চিনিসহ কফিজাতীয় পানীয় শরীরকে পানিশূন্য করে। মুখমণ্ডলকে করে তোলে রক্তিম। এ কারণে গ্রীষ্মের সময় যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চা-কফি পানে বিরত থাকুন।

রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি বা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। প্রচণ্ড রোদে বা খুব পরিশ্রমের পর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা কিছুটা হ্রাস পায়। তাই এ সময় প্রথমে সাধারণ তামপাত্রার পানি পান করুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে তারপর ঠাণ্ডা পানি বা অন্যান্য খাবার গ্রহণ করুন। এই গরমে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন, সুস্থ থাকুন।

 

টাইমস/এএস/জিএস

Share this news on: