মৌরিতানিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ১৫, নিখোঁজ ১৫০

উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ। ৩০০ জন আরোহী নিয়ে যাওয়ার সময় নৌকাটি রাজধানী নোয়াকচটের কাছে ডুবে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটের কাছে ৩০০ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘আনুমানিক ৩০০ জন গাম্বিয়াতে একটি নৌকায় চড়েন এবং গত ২২ জুলাই নোয়াকচটের কাছে নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে সাত দিন সমুদ্রে কাটান।’

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা বলেছে, নৌকাডুবির পর ১২০ জনকে মৌরিতানীয় কোস্ট গার্ড উদ্ধার করেছে। এছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে ১০ জনকে জরুরিভাবে চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে এবং চারজন সঙ্গীহীন ও বিচ্ছিন্ন শিশুকে চিহ্নিত করা হয়েছে।’

নোয়াকচটের মাছের বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইব্বা সার বলেছেন, গত দুই দিনের প্রবল বাতাস মৃতদেহগুলোকে তীরের কাছাকাছি ভাসিয়ে নিয়ে এসেছে এবং তিনি সৈকত থেকে প্রায় ৩০ টি মৃতদেহ সংগ্রহ করতে দেখেছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে সার বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আগামী দুই দিনের মধ্যে আরও মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যাবে।’

মূলত পশ্চিম আফ্রিকার উপকূল থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতে আটলান্টিক অভিবাসন রুটটি সাধারণত আফ্রিকান লোকেরা ইউরোপে আশ্রয় বা আরও ভালো কাজের সুযোগ খুঁজতে ব্যবহার করে থাকে। এই রুটটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসন রুটগুলোর একটি।

আইওএম জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ১৯ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি লোক আটলান্টিক রুট ব্যবহার করে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬০ শতাংশ বেশি।

এছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৯ হাজার ৯১০ অভিবাসী পশ্চিম আফ্রিকা থেকে নৌকায় করে অবৈধভাবে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছিল, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৫৫ শতাংশ বেশি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে নামতে হবে, নয়তো দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে: তারেক রহমান Dec 10, 2025
img
৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা, এবার কঠোর অবস্থানে পুলিশ Dec 10, 2025
img
ভারতে পা দিয়েই কপিল শর্মার উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কড়ার্বাতা Dec 10, 2025
img
পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ পরামর্শ Dec 10, 2025
img
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ব্রাকসু নির্বাচন Dec 10, 2025
img
সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত Dec 10, 2025
img
প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন কেট উইন্সলেট Dec 10, 2025
img
‘উপদেষ্টা আসিফ জোর করেই আমাকে কুমিল্লার দায়িত্ব দিয়েছেন’ Dec 10, 2025
img
ব্যারিষ্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় ঝাড়ু মিছিল Dec 10, 2025
img
জানুয়ারি থেকে সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানসনে থাকবেন মামদানি Dec 10, 2025
img
ফের আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের আঘাত Dec 10, 2025
img
মাংসের চেয়ে আলু বেশি, অনিয়ম ধরে ফেললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 10, 2025
img
রাজধানীর কুড়িলে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ Dec 10, 2025
img
তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর হবে: প্রেস সচিব Dec 10, 2025
img
১৩ বছর অপেক্ষার পর কলকাতায় এআর রহমানের লাইভ শো Dec 10, 2025
img
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Dec 10, 2025
img
৮৮ মিনিটেও রাহুলের মন গলাতে পারলেন না মোদি Dec 10, 2025
img
‘ধুরন্ধর’ নিয়ে উঠল নারীবিদ্বেষের অভিযোগ, অভিনেত্রীর বক্তব্যে মনে পড়ছে ‘অ্যানিম্যাল’? Dec 10, 2025
img
দেশকে স্বনির্ভর করতে রাজস্ব দিন : চসিক মেয়র Dec 10, 2025
img
ধানের শীষকে জেতানোর বিকল্প নেই: তারেক রহমান Dec 10, 2025