প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) অনেকে বলছে যে নতুন দল তৈরি করতে হবে। এটাতো নিরপেক্ষ কথা হতে পারে না। প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সংস্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

আজ রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট : উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর ৩১ দফায় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমাদের যে দাবি ছিল সে অনুযায়ী সরকারের পতন হয়েছে, সংসদ ভেঙে দিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, মৌলিক পরিবর্তন করতে হলে জনগণের মতামত ছাড়া সম্ভব নয়, সেজন্য সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। তার আগে কমিশন সংস্কার করতে হবে এবং সমস্ত জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সংস্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে‌ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু সংগঠন বা ব্যক্তি কাজ শুরু করেছেন, বলা শুরু করেছেন যে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদে রাখতে হবে। তাহলে তো জনগণ কোনোভাবে মেনে নেবে না। তারেক রহমানসহ বিএনপির ১ লাখ ৪৫ হাজার মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যারা নিহত-আহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এখনও প্রশাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়ে গেছে, তাদের অপসারণ করা হয়নি। দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে সরিয়ে দিতে হবে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, দেশের মালিক জনগণ। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে জনগণের সাথে থাকতে হবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পর দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। স্বৈরাচার বিদেশের মাটিতে গিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে, মানুষের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, মিথ্যা কথা বলছে। আগামীতে নিরাপত্তার কথা বিবেচেনা করে ১৮ বছরের উপরের নাগরিকদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। নয়তো নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন অবশ্যই লাগবে, তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে এই জাতি ও শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। মানুষ যারা হত্যা করেছে, এদের ক্ষমা করা যাবে না। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এম এ কাইয়ুম প্রমুখ।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টাকার বিনিময়ে ‘বিগ বস’ জয়ী গৌরব! মুখ খুললেন অভিনেতা Dec 10, 2025
img
অসুস্থ হয়ে ফের মাঠের বাইরে উসমান দেম্বেলে Dec 10, 2025
img
প্রতারণার অভিযোগে রাগবি সভাপতিত্বের লড়াই থেকে সরলেন রাহুল বোস Dec 10, 2025
img
ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে বড় দুঃসংবাদ Dec 10, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

স্পোটিং লিসবনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয় বায়ার্ন মিউনিখের Dec 10, 2025
img
ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই Dec 10, 2025
img
ইতালি থেকে যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ Dec 10, 2025
img
নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস নয়: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা Dec 10, 2025
img
প্রকৌশল শিক্ষাকে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে দায়িত্বশীল হতে হবে: রিজওয়ানা হাসান Dec 10, 2025
img
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে দুঃসংবাদ Dec 10, 2025
img
‘রাতের ঘুম উড়েছে’, ক্যাটরিনাকে বুকে টেনে বিবাহবার্ষিকীতে পোস্ট ভিকির Dec 10, 2025
img
জাতীয় ভ্যাট দিবস আজ Dec 10, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭৪ রানে গুটিয়ে দাপুটে জয় ভারতের Dec 10, 2025
img
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আশপাশের এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ Dec 10, 2025
img
খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে যেতে নিষেধ করেছিলেন চিকিৎসকরা: তারেক রহমান Dec 10, 2025
img
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করছেন আজ Dec 10, 2025
img
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো Dec 10, 2025
img
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা Dec 10, 2025
img
ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার Dec 10, 2025
img
কানাডা ও সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার Dec 10, 2025