নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনঃ একের পর এক কারখানা বন্ধে অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

একের পর এক বন্ধ হচ্ছে কারখানা, দেশের অর্থনীতিতে জানান দিচ্ছে অশনিসংকেতের। এমনটিই বলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চাকরি হারিয়েছেন কয়েক হাজার গার্মেন্টসকর্মী। গেল বছর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক গার্মেন্টস ও অন্য কারখানা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন- বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, গত বছর প্রথম সাত মাসেই বন্ধ হয়েছে ৪৪টি পোশাক কারখানা। সাময়িক কার্যক্রম বন্ধ করেছে অর্ধশতাধিক।

কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, অস্থিতিশীল বাজারের কারণেই গার্মেন্টসগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা ও কার্যাদেশ কম থাকায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তারা। গ্যাস সরবরাহজনিত সমস্যা, ব্যাংক থেকে সহায়তার অভাব ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণেও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৫০ কারখানায়।

কেয়া, বেক্সিমকো গ্রুপের মতো বড় বড় শিল্পকারখানার গুলো বলছে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুর্নীতি ও ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে গেছে মালিকপক্ষের অনেকে। এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো।

এদিকে চাকরি হারানো হাজারও শ্রমিকের অভিযোগ, বকেয়া বেতন এবং পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের। বকেয়া বেতনের জন্য দফায় দফায় আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়া কারখানা ফের চালু করার দাবিতেও মালিকপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেও ফল মেলেনি বলেও জানান তারা।

নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কারখানা বন্ধের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। অর্থনীতিবিদদের বরাতে, ত্রৈমাসিকটির দাবি, বড় কারখানাগুলো সরকারি ভর্তুকি দিয়ে টিকে থাকতে পারে কিন্তু ছোট ও মাঝারি আকারের কারখানাগুলো ব্যবসায় টিকে থাকতে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এমন পরিস্থিতিকে খুবই উদ্বেগজনক বলে হুঁশিয়ার করেছে নিক্কেই এশিয়া।

টিএ/

Share this news on: