কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে যমুনা ইলেকট্রনিক্স এন্ড অটোমোবাইলসের 'পার্টনারস মিট'

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিঃ-এর পার্টনারস মিট-২০২৪। “বন্ধন আগামীর” - এই স্লোগানকে সামনে রেখে পর্যটন নগরীর  একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এবারের পার্টনারস মিট। 

জমকালো আয়োজনে সারাদেশ থেকে আগত যমুনা ইলেকট্রনিক্স-এর ব্যবসায়িক অংশীজনদের নিয়ে মুখরিত ছিল কক্সবাজার। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন শতাধিক ডিলার অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মনিকা নাজনীন ইসলাম, ডিরেক্টর সোনিয়া সারিয়াত, ডিরেক্টর এসএম আব্দুল ওয়াদুদ সহ যমুনা ইলেকট্রনিক্স-এর বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, পারস্পারিক সংযোগ, অংশীজনের সাথে মতবিনিময়সহ গুরত্বপূর্ণ সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পণ্যের মান, নতুন বিপণন কৌশল এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। ডিলাররা পণ্যের গুণগত মান ও গ্রাহকসেবার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের শ্রেষ্ঠ ডিলারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম সকল ডিলারদের উদ্দ্যেশ্যে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি সকল ডিলারদের সফলতা ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে ভিডিও বার্তায় বলেন, যমুনা ইলেকট্রনিক্সের সাথে আপনাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে আগামীর ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাবেন।

যমুনা গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মনিকা নাজনীন ইসলাম বলেন, আমাদের যমুনা পরিবারের প্রাণ হচ্ছে গ্রাহক। আর ডিলাররা হলেন আমাদের শক্তি। আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা মরহুম নুরুল ইসলামের স্বপ্ন ছিল দেশীয় পণ্য দিয়ে একটি বিশ্বমানের ব্র্যান্ড তৈরি করা। আমরা সেই স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যমুনা গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে গর্বের সঙ্গে ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০ বছর আগে ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো; কিন্তু এখন যমুনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উত্পাদন করছে। এছাড়া আমরা বিদেশে রপ্তানির কার্যক্রমও শুরু করেছি।

এছাড়া ডিলারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মনিকা নাজনীন ইসলাম বলেন, আপনারা আমাদের সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আর পরিশ্রমের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চাই।

যমুনা গ্রুপের ডিরেক্টর সোনিয়া সারিয়াত বলেন, দেশীয় পণ্য উত্পাদন করে দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ যারা যমুনার ডিলারের দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবাই আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সারথি। এ কারণেই আপনাদের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
ডিরেক্টর এসএম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, যমুনা গ্রুপ সবসময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আপনারা জানেন, দেশের গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন প্রতি বছর হাজারো মানুষকে সহযোগিতা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিলারদের যমুনা পরিবারের সদস্য হিসাবে দেখতে আমরা ‘যমুনা ডিলার ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন শুরু করেছি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিপদগ্রস্ত ডিলার এবং তাদের পরিবারের সহযোগিতা করা।

যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পরিচালক (মার্কেটিং) সেলিম উল্যা সেলিম বলেন, ডিলারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই যমুনা ইলেকট্রনিক্স দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আমরা ডিলারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।

টিএ/




Share this news on: