নতুন দল গঠনে ইমরান খান, এরদোয়ান ও কেজরিওয়ালদের আদর্শ রাখছেন ছাত্ররা। এই ৪ দলের অভিজ্ঞতাকে আমলে নিচ্ছেন ছাত্ররা। তবে দলের কাঠামো ও আদর্শিক ভিত্তি ঠিক কী হবে তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। দল গঠনের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কোনোটি টিকে আছে, আবার কোনোটি হারিয়ে গেছে। কোনোটি ডান, কোনোটি বামপন্থি আদর্শের। কোনো দল জাতীয়তাবাদকে প্রাধান্য দেয়, আবার কোনোটি এগিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ কিংবা ধর্মভিত্তিক আদর্শকে সামনে রেখে। এমন অবস্থায় ঠিক কি আদর্শ নিয়ে ছাত্রদের নতুন দল আসবে তা জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বিভিন্ন দেশের সফল রাজনৈতিক দলগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন ছাত্ররা। আপাতত তিন দেশের চারটি জনপ্রিয় দলকে নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে রয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, দেশটির আরেক পুরনো দল জাস্টিস পার্টি, পাকিস্তানের দল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি।
দলগুলোর গঠন ইতিহাস, আদর্শ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, মোটো বা স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। মুলত যে রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং দলগুলোর প্রভাব বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে তাদেরকেই রাখা হবে এ তালিকায়।
তবে, ছাত্ররা নতুন দল গঠন করলেও বিলুপ্ত হচ্ছে না জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাই বিপ্লবের চেতনা রক্ষার জন্য স্বতন্ত্র প্লাটফর্ম হিসেবে সংগঠন দুটি কাজ করবে। নতুন দল গঠনের মাধ্যমে মূলত তৃণমূল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং সমাজের সব নাগরিকের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করা হবে বলে দাবি করেন ছাত্রনেতাদের।
জানা গেছে, নতুন দল গঠন হবে সর্বস্তরের জনমতের ভিত্তিতে। অনলাইনে এক লাখ ও অফলাইনে এক লাখ মানুষের থেকে নেয়া হবে পরামর্শ। অনলাইনের ক্ষেত্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রশ্ন থাকবে, সবাই গুগল ফর্মের মাধ্যমে সেটি পূরণ করবে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন ‘রাজনৈতিক দলে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন, যেটি গত ৫৩ বছরেও হয়নি। আমরা প্রান্তিক জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামত নিয়ে আসব।