বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে এম জে এইচ মঞ্জুকে আহ্বায়ক এবং আতিক শাহরিয়ারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেছে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য রাশিদুল ইসলাম রিফাত। এর আগে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক ৩১ জন, যুগ্ম সদস্য সচিব ২৬ জন, সংগঠক ২০ জন এবং ১৭ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
রিফাত রশিদ বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.জে.এইচ মঞ্জুকে আহ্বায়ক, আতিক শাহরিয়ার সদস্য সচিব, ওমর ফারুক মুখ্য সংগঠক এবং সাবিনাকে মুখপাত্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
রিফাত বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার ও খুনি হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। যে গণঅভ্যুত্থানে সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীসহ প্রাণ দিয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক ও জনতা। অঙ্গহানি হয়েছে অর্ধ লক্ষ মানুষের। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার এ লড়াইয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা সম্পর্কে দেশবাসী অবগত। রক্তঝরা জুলাইয়ে আমরা আমাদের অসংখ্য সহপাঠী, ভাই ও বন্ধুকে হারিয়েছি তাদের এই আত্মদান আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে দেশ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন থাকতে।
কমিটির চারজন শীর্ষ নেতাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাইয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শহীদসহ আনুমানিক ২ হাজারের অধিক শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
রিফাত আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ই জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শহীদ আসিফকে প্রথম শহীদ ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে সর্বোচ্চ শহীদের ইউনিভার্সিটি হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইম আবেদিন বলেন, যখন সবস্থানে পুলিশ র্যাব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করছিল তখন রামপুরা বাড্ডা উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অবস্থান করেছিলেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল এখন তারা কথা বলতে শিখেছে।
তিনি বলেন, আজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি শাখার বিভিন্ন পদে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমি তাদের নিয়ে অনেক আশাবাদী।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ বহু আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। শুধু জুলাইয়ে তাদের অবদান আছে সেটা ভাবা যাবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কমিটি ৬৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই কমিটিকে নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে।