আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে বিশেষ তালিকা করছে পুলিশ। সদর দপ্তরের নির্দেশে বিশেষ এই কাজটি করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি ও এসবি শাখার সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তার আসামিদের জামিন আইনি প্রক্রিয়ায় ঠেকাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
জুলাই আন্দোলনের পর দেশ জুড়ে নানা অভিযোগে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা। এসব মামলায় আবার অভিযুক্ত অনেকেই রয়েছে পলাতক। যাদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ আবার অনেকেই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাইরে চলে আসছেন। তাঁদের জামিন প্রতিরোধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশের প্রক্রিয়াধীন এ তালিকার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও মোবাইল ফোনের নম্বর থাকবে পুলিশের কাছে।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে প্রায় ২ হাজার ১০০ মামলা হয়েছে। যে মামলাগুলোতে মোট আসামির সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার। তাঁদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব আসামিদের অনেকেই গ্রেপ্তার হলেও কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন বলে আদালত ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাসহ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালীরাও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান, সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, শেখ হাসিনার বান্ধবী সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারুলের মত নাম।