ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি জানান, দুষ্কৃতকারী ডাকাত দল নাকফুল ও কানের দুল নেওয়ার সময় নারীদের সংস্পর্শে গিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে প্রাথমিকভাবে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। শ্লীলতাহানি বলা যেতে পরে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’ এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানি করা হয় দুই নারীকে। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।