আন্দোলনরত আহতদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। তিনি আহতদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।

এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনের সড়কে বসে পড়েন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবস্থানকারীদের সঙ্গে দাবির বিষয়ে কথা বলেন। তখন, উপস্থিত ব্যক্তিরা ক্যাটাগরি বৈষম্য দূর করে আহতদের দ্রুত পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা এবং ইমার্জেন্সি হটলাইন চালুর দাবি জানান।

এসব দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে আন্দোলন করেছেন সেটির ফলেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা সবাই একটি সুন্দর ও নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। আপনারা সেজন্য আহত হয়েছেন রক্ত দিয়েছেন। আপনারা যে সংগ্রাম করেছেন সে জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি নিজে এখানে উপস্থিত হয়ে এই দাবিগুলো গ্রহণ করলাম। যে মন্ত্রণালয় এই দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছে আমি নিজ হাতে তাদের কাছে পৌঁছে দেব। আমি আবারও বলছি, আপনাদের ত্যাগ অনস্বীকার্য এবং মূল্য দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না। কিন্তু সরকারের একটি নিয়ম আছে। এখন এটি আমি হাতে নিয়েছি এবং যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। একইসঙ্গে বিষয়টি যেন সুবিবেচনা করা হয় সেটিরও অনুরোধ জানাবো। আমি আশা করব আপনারা এই অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেবেন।

এসময় অবস্থানকারীরা নারাজ হলে আবারও আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে এখানে এসে দাবিগুলো হাতে নিয়েছি। যে উপদেষ্টা এই বিষয়টি দেখেন তার কাছে আমি পৌঁছে দেব। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি আপনারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন।

পরে আহত ও তাদের পরিবারবর্গের পক্ষে আরমান নামের একজন বলেন, এই তিন দাবি পূরণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এখান থেকে সরে যাওয়া হবে না। আমরা এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো।
পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবার ভেতরে চলে যান।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় আন্দোলনে আহতরা স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শ্যামলী, শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করে ও অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লিটনদের টিম স্পিরিট নিয়ে সন্তুষ্ট বুলবুল Sep 20, 2025
img
শ্রীলঙ্কা দলে যোগ দিলেন ভেল্লালাগে, একাদশে থাকা অনিশ্চিত Sep 20, 2025
img
জন্ম থেকেই জামায়াতের ভূমিকা বিতর্কিত : হারুনুর রশিদ Sep 20, 2025
img
মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত Sep 20, 2025
img
আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষণের শীর্ষে কুয়েত Sep 20, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 20, 2025
img
ইরফান নিজেকে ‘মহান ভারতীয়’ প্রমাণ করার জন্য মিথ্যা বলেছেন : আফ্রিদি Sep 20, 2025
img
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো স্টেকহোল্ডার না : সারোয়ার তুষার Sep 20, 2025
img
বরের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করলেন ফারিয়া! Sep 20, 2025
img
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের Sep 20, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপেও সুফল মিলছে না : তাসকীন আহমেদ Sep 20, 2025
img
আফগান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাংলাদেশ কোচ Sep 20, 2025
img
ফ্রান্স ছেড়ে আলজেরিয়ার জার্সিতে খেলবেন জিনেদিন জিদানের ছেলে Sep 20, 2025
img
অবশেষে প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয় করালেন শ্রদ্ধা কাপুর Sep 20, 2025
img
মৃত্যুর আগে শেষ বার্তায় উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী জুবিন! Sep 20, 2025
img
অস্কারের লড়াইয়ে ২৪টি সিনেমাকে হারিয়ে শীর্ষে ‘হোমবাউন্ড’ Sep 20, 2025
img
নির্বাচন বানচাল নয়, জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমাদের আন্দোলন : হামিদুর রহমান Sep 20, 2025
img
রদ্রির ইনজুরিতে দুশ্চিন্তায় ম্যানচেস্টার সিটি Sep 20, 2025
img
নির্মাণ ব্যয় বাড়ায় নতুন ২ মেট্রোরেলে জাপানের বিকল্প ভাবছে সরকার Sep 20, 2025
img
শুরু থেকে নাও খেলতে পারে এমবাপ্পে! Sep 20, 2025