চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নাহিদ হাসান খন্দকার কে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি রংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র ছিলেন। এর আগে নাহিদ হাসানের চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র পদ থেকে নাহিদ হাসান খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে ভিডিওতে নাহিদ হাসান খন্দকারকে দেখা গেলেও অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে দেখা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে নাহিদ হাসান খন্দকারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল অপর প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তির।
এরপর ১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর শাখা অভিযুক্ত নাহিদ হাসান খন্দকার কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। ওই নোটিশে বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে যে, অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং সে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের সংশ্লিষ্টতার প্রশ্ন ওঠে।
অতএব, উপরিউক্ত বিষয়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কৈফিয়ত পত্র প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কাছে পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি সাংগঠনিক নিয়মে নিষ্পন্ন করা হবে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি নাহিদ হাসানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমি যদি বলো সেখানে বালুর ব্যবসা হচ্ছে তাহলে সেটা বন্ধ করে দিই। এক লাখ টাকা দিতে পারবো না, পাঁচ হাজার টাকা দিচ্ছি। এসময় নাহিদ হাসান খন্দকার বলেন, ব্যবসা আপনি বন্ধ করবেন কেন, ব্যবসা আপনিই চালান। আমি বলছি না আজকেই দিতে হবে।
এফ পি/ এস এন