চলতি বছরই নির্বাচন চায় ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ মানুষ। তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান। অন্যদিকে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে।
ইনোভিশন বাংলাদেশ নামে একটি গবেষণা সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। ৬৪ জেলা থেকে জরিপটিতে অংশ নেন ১০ হাজার ৬৯০ জন। ফলাফল বলছে, ৬২ শতাংশ মানুষ এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তারা কাকে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাদের পছন্দের দলের কথা।
জরিপে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট নিয়ে জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল বিএনপি। এর পরের অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। তারা পেয়েছেন ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট। শিক্ষার্থীদের নব গঠিত দল এন/সি/পি ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেয়া ভোটারদের মধ্যে প্রজন্মগত পার্থক্য স্পষ্টত ধরা দিয়েছে। জেনারেশন এক্স এবং বুমারদের মধ্যে বিএনপির প্রতি সমর্থন তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে জেনারেশন জেড এর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত প্রায় সমানভাবে জনপ্রিয়। ৪৭ শতাংশ ভোটার পছন্দের দল বেছে নিতে পারিবারিক প্রভাবকে প্রাধান্য দিয়েছেন। বিপরীতে, ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর পছন্দে প্রভাব ফেলেছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক থেকে পাওয়া সংবাদ।
২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্ত নেননি, তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন, কেবল প্রার্থী সম্পর্কে জানার পরই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এক্ষেত্রে নারী ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সবচেয়ে বেশি। ৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ নারীই নিশ্চিত নন তারা কাকে ভোট দিতে চান। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন মনে করেন জরিপে অংশ নেয়া ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মত দিয়েছেন সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে। জরিপের ফল বলছে, অংশগ্রহণকারীদের প্রধান উদ্বেগ অর্থনৈতিক সংকট। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সর্বোচ্চ ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ প্রত্যাশা রেখেছেন প্রত্যাশা রাখেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ছিল অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা।
এফপি/এসএন