এনআইডি কার্যক্রম ইসি থেকে সরিয়ে নিলে, খর্ব হবে কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা। এমন তথ্য জানিয়ে সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির দাবি, এই কার্যক্রম তাদের অধীনে রাখা জরুরি। এমনটি করা হলে ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কোনো বাধ সৃষ্টি হবে না বলে ধারণা করছেন তারা।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, যদি এই কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নেয়া হয়, তবে তা সাংবিধানিকভাবে ইসির ক্ষমতাকে দুর্বল করবে।
এছাড়া, চিঠিতে ইসি সচিব এনআইডি কর্মকর্তাদের ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা এবং তাদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও জানান, পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ নাগরিকের এবং ১১ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
কমিশন আরও জানায়, এই সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ভিনদেশি নাগরিকের তথ্য চিহ্নিত করা এবং অবৈধ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। যা দেশের নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তবে, সম্প্রতি এনআইডি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে। এরপর আবার গঠন করা হয়েছে নতুন একটি কমিশন। যার ফলে, কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন কর্মকর্তারা। আগামী ১৩ই মার্চের মধ্যে অগ্রগতি না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানানো হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “এনআইডি হচ্ছে ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট। যা সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৭ বছরের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আজকের এই পরিপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। তাই সরকার অবশ্যই এই বিষয়টি বিবেচনায় নিবে।”
টিএ/