আরেফিন সিদ্দিকের অবস্থার আরও অবনতি, আশা দেখছেন না চিকিৎসকরা

রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্রেইন ডেথের যেসব উপসর্গ দেখা যায়, সবগুলোই তার ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে। এতে তার জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা। রোববার (৯ মার্চ) রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ড. আরেফিন সিদ্দিকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, ব্রেইন ডেথের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায়, ওনার ক্ষেত্রে পায় সবগুলোই বিদ্যমান। হয়তো শিগগিরই অফিসিয়ালি তাকে ব্রেন ডেথ (মৃত) হিসেবে ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করা হবে। এখন পুরোটা নির্ভর করছে তার পরিবারের সিদ্ধান্তের ওপর। লাইফ সাপোর্ট কমিয়ে নিলে হয়তো ৫ সেকেন্ডেই সবকিছু থেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এই সময়টা আসলে যে কোনো পরিবারের জন্যই কঠিন। পরিবারের সদস্যরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে চান না। তারা মনে করেন যদি মিরাকলি (অলৌকিক) কিছু হয়ে যায়। কিন্তু আমরা আসলে ওনার ক্ষেত্রে এ রকম কোনো লক্ষণ বা সম্ভাবনা দেখছি না। যা মনে হচ্ছে গ্রাজুয়ালি (ধীরে ধীরে) এভাবেই তিনি চলে যাবেন।

হৃদপিণ্ড সচল আছে কি না, জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ব্রেন ডেথের ক্ষেত্রে লাইফ সাপোর্টে সাধারণত হৃদপিণ্ড সচলই থাকে। সাপোর্ট কমিয়ে দিলে হার্টবিটও থেমে যাবে।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মস্তিষ্ক কাজ করছে না বিধায় অস্ত্রোপচারও সম্ভব হচ্ছে না। তার হৃদপিণ্ডের অবস্থাও আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে ৪৮ হাজারে নেমেছে। হৃদপিণ্ড সচল রাখতে চিকিৎসকরা তাকে নতুন ওষুধ দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্লাবে (রমনা) অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তাকে নিউরো আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।

আরএইচ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঐকমত্য কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে, ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই : আলী রীয়াজ Jul 15, 2025
img
বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪ হাজার ছাড়াল, হাসপাতালে ভর্তি ১৭৫ জন Jul 15, 2025
img
'ইসলামি প্রজাতন্ত্র যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না, যেকোনো অভিযানের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ প্রস্তুত' Jul 15, 2025
img
ঢাকাসহ ১৫ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 15, 2025
img
ফিটনেস ধরে রাখতে সপ্তাহে পাঁচ দিন খিচুড়ি খান কারিনা কাপুর Jul 15, 2025
img
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ : ড. কামাল Jul 15, 2025
সৌদিতে নিখোঁজ বাংলাদেশি কর্মকর্তা, রহস্য ঘনীভূত Jul 15, 2025
img
আগস্ট মাস থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার Jul 15, 2025
img
বুলবুল আহমেদকে হারানোর ১৫ বছর Jul 15, 2025
img
জুলাই কেন্দ্র করে ঢাবিতে দুটি নতুন দিবসের সূচনা Jul 15, 2025
img
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব নিতে আগ্রহী তাইজুল! Jul 15, 2025
img
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চায় সৌদি আরব Jul 15, 2025
img
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা Jul 15, 2025
img
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শিক্ষা বিভাগ বন্ধের অনুমতি পেলেন ট্রাম্প Jul 15, 2025
img
জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ, এটা জাতির জন্য সুবর্ণ সময়: সিরাজ উদ্দিন Jul 15, 2025
img
জাতীয় সনদ তৈরিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত জরুরি: আলী রীয়াজ Jul 15, 2025
img
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন জেলেনস্কি Jul 15, 2025
img
মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার হলেন স্টার জলসার অভিনেত্রী Jul 15, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবে নিখোঁজ ১১ জন Jul 15, 2025
img
চলতি বছরের শেষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা Jul 15, 2025