গত সাত মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমেছে ১ কোটি ৩১ লাখ। তবে এই সাত মাসে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী বেড়েছে কিছুটা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন জানায়, শুধু জানুয়ারিতেই টেলিকম অপারেটররা গ্রাহক হারিয়েছে প্রায় ১০ লাখ। জানুয়ারিতে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৬০ লাখ।
এ সময়ে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ লাখ বেড়ে ১ কোটি ৪০ লাখে পৌঁছেছে। জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি দাঁড়িয়েছে। এ অর্থবছরের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিমের ওপর কর ৫০% বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমার অন্যতম কারণ সিমের ওপর কর ৫০% বৃদ্ধি, অপারেটরদের ভর্তুকিতে সিম বিক্রি কমিয়ে দেওয়া এবং গ্রাহকদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি।
এর আগে, মোবাইল অপারেটররা প্রায়ই গ্রাহক বাড়াতে যথেষ্ট কম দামে সিম বিক্রি করত, এমনকি বিনামূল্যেও বিতরণ করত। জানা গেছে, সিমের ওপর কর বাড়ানোর পর বাংলালিংক ও রবির মতো অপেক্ষাকৃত ছোট অপারেটররা ভর্তুকি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলালিংকের করপোরেট প্রধান ও নিয়ন্ত্রক বিষয়ক কর্মকর্তা তাইমুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কর বৃদ্ধির ফলে মোবাইল অপারেটরদের জন্য আগের মতো সিম বিক্রিতে ভর্তুকি দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছোট অপারেটরদের জন্য এই চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। কারণ বড় টেলিকম কোম্পানিগুলো ভর্তুকি বহন করতে পারে, যা বাজারে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট করে।”
রবির করপোরেট প্রধান ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহেদ আলম মনে করেন, সিমের বাড়তি দামের কারণে গ্রাহকরা একাধিক সংযোগ ব্যবহার করছে না। বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুরের মতে, মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ দিনে অন্তত একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলে তাকে সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহক বলা যাবে।
আরএ/টিএ