টকটকে লাল টেসলা গাড়ি কিনলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে জনপ্রিয় এই গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির প্রোমোশন করে দিলেন একদম ফ্রিতে। হোয়াইট হাউসকে সাময়িক সময়ের জন্য টেসলার শো-রুম বানাতেও দ্বিধা করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। আর এ সব বিতর্কিত উদ্যোগ কেবল ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্কের জন্য।
কোনো ফেডারেল কর্মী না হয়েও ট্রাম্প তার নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে। আর সেই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমাতে অধীনস্ত কর্মীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন অটোমোবাইল কোম্পানি টেসলার মালিক মাস্ক। এরপর থেকেই দৃশ্যত কমেছে টেসলার গাড়ি বিক্রির হার।
কাজেই গাড়ি চালাতে না পারলেও কেবল মাস্ককে সমর্থন দিতে বিলাসবহুল টেসলা গাড়ি কেনার কথা জানান ট্রাম্প। স্থানীয় সময় ১১ মার্চ ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘কালকেই আমি টেসলার গাড়ি কিনব। সেটি হবে একেবারে নতুন মডেলের টেসলা।’
ট্রাম্প জানান, ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন অটোমোবাইল কোম্পানি টেসলা যুক্তরাষ্ট্রে রেজিষ্টার করা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি তার সেই ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে ভাটা পড়েছে। আর তাই রিপাবলিকান শিবিরের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী মাস্ককে উৎসাহ দিতেই একদম নতুন মডেলের টেসলা কিনলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ১২ মার্চ সকালেই ৫ টি নতুন মডেলের টেসলা নিয়ে হাজির হন মাস্ক। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক উপদেষ্টা মাস্কের গাড়ির প্রদর্শনী হয় হোয়াইট হাউজের দক্ষিণ লেনে। সাংবাদিকদের ডেকে এনে রীতিমত এক শো আয়োজন করেন ট্রাম্প।
জানা গিয়েছে, ট্রাম্প যে লাল রঙের টেসলা কিনেছেন তার দাম প্রায় ৭৬ হাজার ৮৮০ ডলার বা ৯৩ লক্ষ টাকার বেশি। অবশ্য প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী ট্রাম্প নিজে কখনও এই গাড়ি চালাতে পারবেন না। কাজেই গাড়িটিকে হোয়াইট হাউসের কর্মীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেন তিনি। এতে হাসিতে ফেটে পড়েন ইলন মাস্ক। বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ক্রেডিট স্কোর ভালো, আমি আত্মবিশ্বাসী, তার চেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে।’
গত ১০ মার্চ ইলন মাস্কের টেসলার শেয়ার কমে যায় প্রায় ১৫ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে মাস্কের কোম্পানি টেসলার গাড়ি বর্জনের ডাক আসতে পারে বলে শঙ্কা জানান প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগকারীরা। সে সময়ও তার পাশে দাঁড়ান ট্রাম্প। এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রিপাবলিকান, রক্ষণশীল এবং সব আমেরিকানের উদ্দেশে বলছি, দেশকে সহায়তার জন্য ইলন মাস্ক টেসলাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছেন। তিনি আমেরিকার জন্য অসাধারণ কাজ করছেন।’
‘বাম কট্টরপন্থী উন্মাদেরা’ অবৈধভাবে এবং চক্রান্তের মাধ্যমে টেসলাকে বর্জনের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘মাস্ক সত্যিকারের একজন মহান আমেরিকান।’ তবে ট্রাম্প টেসলা কেনার পরই সংস্থার শেয়ারের দাম ৩.৭৯ শতাংশ ওঠে আসে।
এসএম/এসএন