ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি চার বছরের সর্বনিম্নে

ভারতে গত মাসে ভোজ্যতেল আমদানি চার বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর প্রধান কারণ হলো সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানিতে বড় ধরনের পতন, যা দেশটিতে ভোজ্যতেলের মজুদও তিন বছরের সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনে। গত মঙ্গলবার ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদন অনুসারে, টানা দুই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ভোজ্যতেল আমদানির কারণে ভারতে মজুদ কমে গেছে। দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম ভোজ্যতেল আমদানিকারক সামনের মাসগুলোয় বিশ্ববাজার থেকে বেশি পরিমাণে ভোজ্যতেল সংগ্রহ করতে হতে পারে। ফলে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল ও মার্কিন সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে পারে।

শিল্প সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) জানিয়েছে, ভারতের পাম অয়েল আমদানি ফেব্রুয়ারিতে জানুয়ারির তুলনায় ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৪৯ টনে পৌঁছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে শেষ হওয়া বিপণন বছরে প্রতি মাসে গড়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার টনের বেশি পাম অয়েল আমদানি করেছে ভারত।

এসইএ আরো জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ কমে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭ টনে নেমেছে। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেল আমদানি ২০ দশমিক ৮ শতাংশ কমে পেয়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ২৭৫ টনে পৌঁছেছে। গত মাসে ভারতে মোট ভোজ্যতেল আমদানি ১২ শতাংশ কমে ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৫ টনে নেমে এসেছে, যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন। এর মূল কারণ ছিল সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেলের কম আমদানি।

এসইএর তথ্যমতে, আগামী অক্টোবরে শেষ হতে যাওয়া চলতি বিপণন বছরের প্রথম চার মাসে মোট ভোজ্যতেল আমদানির মধ্যে পাম অয়েলের হিস্যা ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৬ শতাংশ।

এদিকে ১ মার্চ পর্যন্ত ভারতের ভোজ্যতেলের মজুদ আগের মাসের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে ১০ লাখ ৮৭ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পাম অয়েল এবং আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে।

ভারতের জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী রাজেশ প্যাটেল বলেছেন, ভারতীয় ভোজ্যতেলের বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এজন্য মার্চে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের আমদানি বাড়তে পারে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ওসমান হাদিকে ব্যাংকক নিতে প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স Dec 14, 2025
img
ঢাকার হত্যা চেষ্টা বিএনপিকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী Dec 14, 2025
img
ভারত সন্ত্রাসীদের সেফ হাউজ: হাসনাত Dec 14, 2025
img
পরিবহন সেক্টরে জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যমভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন Dec 14, 2025
img
অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে : প্রধান বিচারপতি Dec 14, 2025
img
যুবভারতী কাণ্ডে স্ত্রীর জন্য প্রতিবাদী হলেন রাজ Dec 14, 2025
img
বোনদের অভিযোগকে মিথ্যা দাবি ডিপজলের Dec 14, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাই রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সরাসরি নৌপরিবহন চালুর পরিকল্পনা Dec 14, 2025
img
পরিবারের সিদ্ধান্তে হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি Dec 14, 2025
img
সব আনন্দ মিস করছি: মিমি চক্রবর্তী Dec 14, 2025
img
প্রতারণা মামলায় তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ Dec 14, 2025
img

জামায়াত নেতা মিলন

হাদিকে বারবার প্রাণনাশের হুমকি দিলেও পদক্ষেপ নেয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Dec 14, 2025
img
ঝিনাইদহ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জোরদার Dec 14, 2025
img
৫৪ বছরেও বুদ্ধিজীবী হত্যার তদন্ত বা বিচার করা হয়নি : গোলাম পরওয়ার Dec 14, 2025
img
রাজশাহীতে শিশু সাজিদের ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ Dec 14, 2025
img
১৭ দিনে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করল ডিজনি অ্যানিমেশন সিক্যুয়াল ‘জুটোপিয়া টু’ Dec 14, 2025
img
ক্রিকেটারদের গেটের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল, দাবি তামিমের Dec 14, 2025
img
মানুষের বিপদে শুধু আমার দরজাই সবার জন্য খোলা থাকে : পরীমনি Dec 14, 2025
img
'বাস্তিয়ান পাব' এর ঘটনায় ফের চর্চায় রাজ-শিল্পা দম্পতি Dec 14, 2025
img
সম্ভাব্য প্রার্থীকে গুলি, আমার মাথার ওপর বাজ পড়েছে : সিইসি Dec 14, 2025