নিজের বাড়িতেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হলেন ‘বিগ বস ১৮’-র বিতর্কিত প্রতিযোগী কাশিশ কাপুর। তার অভিযোগ, বাড়ির কাজের লোক ৭ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে কাশিশের নিজের ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে, যেখানে তিনি পুরো ঘটনার বিবরণ দেন চোখে জল নিয়ে।
মুম্বাইয়ের বীরা দেশাই রোড-এর নিউ অম্বিভালি সোসাইটিতে থাকেন কাশিশ। অভিযোগ অনুযায়ী, সাচিন কুমার চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গত ৫ মাস ধরে তার বাড়িতে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করছিলেন। কিছুদিন আগে, নিজের মায়ের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য বাড়িতে ৭ লাখ টাকা নগদ রেখেছিলেন কাশিশ। কিন্তু লকার খুলতেই দেখেন, ওই খামের ভিতর এক টাকাও নেই!
কাশিশের দাবি, তৎক্ষণাৎ তিনি রান্নার লোকটিকে ডাকেন। ও পালিয়ে যাচ্ছিল। মুখোমুখি প্রশ্ন করতেই, প্রথমে অস্বীকার করে। কিন্তু পকেট ঘাঁটতে বলতেই, এক বান্ডিল টাকা উড়ে পড়ে।
তখনই কাশিশ ফোন ধরতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই কুক তাকে গায়ের জোরে দেওয়ালে ঠেলে ধরেন। কাশিশ বলেন, “আমি নিজের বাড়ির ড্রইংরুমে, দেওয়ালের সঙ্গে পিঠ ঠেকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সে বলছে, ‘কাউকে কিছু বলবি না’। আমার মাথায় তখন শুধু একটা কথাই ঘুরছে—‘নিজেকে বাঁচাও’।”
পরে ঠান্ডা মাথায় কাজ করে কাশিশ কৌশলে অভিযুক্তকে ফের বাড়িতে ডেকে আনেন, আর আগেই পুলিশকে খবর দেন। তারা মিলে অম্বোলি থানায় পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পরে পুলিশের সামনে স্বীকার করে যে সে নাকি শুধু ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে, যা কাশিশ ‘মিথ্যে’ বলে দাবি করেন।
এই ঘটনার পর কাশিশ এখন কাজের সূত্রে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন, কিন্তু মুম্বাই পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলেই জানিয়েছে। তবে টাকা ফেরত পাবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।
কাশিশ বলেন,“আমি ২০ তলার ফ্ল্যাট থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে ওর পিছনে দৌড়েছি। মাথা ঝিমঝিম করছিল, কিন্তু তখন মনে হল—‘মরে গেলেও পরে মরো, আগে এই লোকটাকে ধরো!’”
প্রসঙ্গত, বিগ বস ১৮-র ‘উইকেন্ড কা ভার’ এপিসোডে নিজের উদ্ধত স্বভাবের জন্য সালমানের কাছে জোর ধমক খেয়েছিলেন কাশিশ। ‘উইকেন্ড কা ভার’ প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নানা পরামর্শ দেন সালমান। কারও কারও ভাগ্যে জোটে তিরস্কার। তেমনই কাশিশকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন অভিনেতা। কারণ তার কয়েকদিন আগেই কাশিশ দাবি করেছিলেন, অবিনাশ নামে এক প্রতিযোগী তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করার চেষ্টা করেছিলেন, যাতে বিগ বসের ঘরে নতুন গল্প তৈরি করা যায়।
এফপি/ টিকে