বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কী?

চলতি বছরের শুরুতেই টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২২৮ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ভারতের শহর ‘দিল্লি’যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। একই সময়ে ২২০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আলজেরিয়ার শহর ‘আলজিয়ার্স’।

এদিকে ১৭৪ স্কোর নিয়ে অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী ‘কাঠমাণ্ডু’। আর ১৫৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রযেছে রাজধানী ‘ঢাকা’।

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১০ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে Jul 09, 2025
img
অর্থবছরের প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স এলো ৬৬ কোটি ডলার Jul 09, 2025
img
লিটন দাসের বাদ পড়া প্রসঙ্গে যা বললেন মিরাজ Jul 09, 2025
img
সকালের মধ্যে দেশের সাত জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা Jul 09, 2025
img
হৃদয়ের ওপর চাপটা দিতে চাইনি : মিরাজ Jul 09, 2025
img
নরসিংদীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে বিএনপি নেতা বহিষ্কার Jul 09, 2025
img
বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করেছিল : নাহিদ Jul 09, 2025
img
হবিগঞ্জ সীমান্তে ৮ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন বিএসএফের Jul 09, 2025
img
ফেনীর দুই উপজেলায় ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম Jul 09, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে অনুমোদনহীন ১৮৩৬ লিটার জ্বালানি তেল জব্দ Jul 09, 2025
img
আমাদের দলটা জুনিয়র এখনও, আমরা পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছি : হারের পরে মিরাজ Jul 08, 2025
img
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ আটক ২ Jul 08, 2025
img
পন্তকে ভারতের শহীদ আফ্রিদি বললেন সাবেক অধিনায়ক মুশতাক মোহাম্মদ Jul 08, 2025
img
সাংবাদিকদের ধমক দেবেন, এটা সভ্য রাজনীতির কথা নয় : ডা. জাহিদ Jul 08, 2025
img
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে এনসিপি : নাহিদ Jul 08, 2025
img
নাগার্জুনার সঙ্গে ‘কুলি’তে পর্দা শেয়ার করবেন না আমির খান! Jul 08, 2025
img
সাই পল্লবীকে সীতা চরিত্রে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে Jul 08, 2025
জিএম কাদেরকে মানসিক রোগী বললেন চুন্নু! Jul 08, 2025
img
সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার কথা স্বীকার করল ইসরাইল! Jul 08, 2025
img
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯৯ রানে হারল বাংলাদেশ Jul 08, 2025