নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী।
আবদুল হান্নান মাসউদ অভিযোগ করেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে বলে।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জাহাজমারা বাজারে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে বলে জানান পুলিশ।
আব্দুল হান্নান মাসউদের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে অ্যাডমিন প্যানেল থেকে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।
জানা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ হাতিয়ার সন্তান। রোববার (২২ মার্চ) দিনব্যাপী তিনি উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার (২৪ মার্চ) দিনব্যাপী জাহাজমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষের সাথে দেখা করেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যায় জাহাজমারা বাজারে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার জনসংযোগে বাধা ও হামলা করে। এ সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়কেই ছাত্র-জনতাকে নিয়ে অবস্থান করছেন আবদুল হান্নান মাসউদ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাতিয়া উপজেলার সমন্বয়ক মো. ইউসুফ রেজা বলেন, হান্নান মাসউদ ভাইয়ের শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে। ফলে থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়। হান্নান ভাই বর্তমানে বাজারের মাঝখানে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। অপরাধীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
হামলার বিষয়ে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, আমার পথসভায় বিএনপির একদল নব্য ফ্যাসিস্ট বাধা দেয়। প্রতিবাদে আমি ছাত্র-জনতাকে নিয়ে সড়কেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যারা হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগের থেকেও কম নয়। তারা বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে ফের হামলার পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমি চাই কোনো অপরাধীর ঠাঁই এই দ্বীপে না হোক। সে যে দলেরই হোক না কেন। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতেই হবে।
এদিকে হামলা ও বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন। তিনি বলেন, কিসের হামলা, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই। বর্তমানে আব্দুল হান্নান মাসউদ যাদের নিয়ে ঘুরছেন তারা আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারের দোসর। তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হতে পারে। এছাড়াও তার কোনো দলের লোকজন নেই। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে কর্মসূচি পালন করছেন।