দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলের এই পরিস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। প্রাণহানি ২৪ জনে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন আরও অনেকে, এবং দাবানল নিয়ন্ত্রণে না আসায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দাবানলের কারণে ১৭ হাজার ৩৯৮ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় ভয়াবহ দাবানল বলে বিবেচিত হচ্ছে। ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থানগুলোর ঝুঁকিতে থাকা এবং ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা এই দুর্যোগের ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সরকারের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি, কারাবন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ এবং দাবানল নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি সভাগুলো বোঝায় যে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। দাবানলের বিস্তার পূর্বাভাসের মডেলগুলোকেও ভুল প্রমাণ করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জের আরও একটি উদাহরণ হতে পারে।
এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া কতটা প্রস্তুত, এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কী ধরনের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে এখনই ভাবার সময়।
এসএস/এসএন