নিষিদ্ধ ওষুধ ফেন্টানাইল চোরাচালানের বিষয়ে চীনকে শীর্ষে এবং ভারতকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক বার্ষিক ঝুঁকি পর্যালোচনা রিপোর্ট। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের দফতর থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফেন্টানাইল এবং এর উৎপাদনের সরঞ্জাম প্রধানত চীন থেকে পাচার হয়, তবে ভারতও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেন্টানাইল একটি শক্তিশালী ব্যথানাশক ওষুধ, যা মরফিনের তুলনায় বহুগুণ শক্তিশালী এবং আমেরিকায় এটি নিষিদ্ধ। এটি মেক্সিকো ও কানাডা সীমান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। এই ওষুধ চোরাচালান বন্ধে ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার ভারতকেও এই তালিকায় যুক্ত করায় নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভারতের নাম অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় নয়াদিল্লি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মূল্যায়নকে ‘একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে।
চীনও এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। বেইজিং জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানাইল সমস্যা নিয়ে অন্য দেশগুলোর ওপর দোষ চাপিয়ে পরিস্থিতির সমাধান করতে চাইছে। দেশটির দাবি, ফেন্টানাইল সমস্যার জন্য আমেরিকাই দায়ী।
এই প্রতিবেদন এমন সময় প্রকাশ করা হলো, যখন ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ইস্যু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
এসএস/এসএন