কঙ্গনার সন্তানও সিনেমা বা রাজনীতিই করবে, সেটাও তো স্বজনপ্রীতি : সালমান

বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে মুখ খুলে অনেকেরই চক্ষুশূল হয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির খান-কাপুর সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী যেভাবে সরব হয়েছেন, সেটাও নাপসন্দ ইন্ডাস্ট্রির একাংশের। উপরন্তু করণ জোহরকে নেপোটিজমের ঝান্ডাধারী তকমা সেঁটে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। যার জেরে বলিউডে বর্তমানে তিনি রীতিমতো ‘কোণঠাসা’।

বলিউডি লাইমলাইট থেকে শতহস্ত দূরে তিনি এখন হিমাচলে ব্যস্ত। মাণ্ডির সাংসদ। রেস্তরাঁর মালকিন। আবার প্রযোজকও। এবার কঙ্গনার সেই ‘স্বজনপ্রীতি ত্বত্ত্ব’ নিয়েই খোঁচা দিলেন সলমন খান।

সম্প্রতি ‘সিকান্দার’-এর প্রচারে সাংবাদিকরা যখন তাঁকে ‘স্বর্নিমিত সুপারস্টার’ বলে আখ্যা দেন তখনই তড়িৎগতিতে প্রতিক্রিয়া আসে সালমানের তরফে। ভাইজান বলেন, “এই দুনিয়ায় কেউ স্বনির্মিত নয়। কেউ শুধুই নিজের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। সবটাই টিমওয়ার্ক। আমার বাবা যদি ইন্দোর থেকে মুম্বইতে না আসতেন, তাহলে হয়তো আমি ওখানেই চাষবাস করতাম। ওঁর সিদ্ধান্তেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। বাবা এখানে এসে সিনেমায় কাজ করেছেন। এখন আমি ওঁর ছেলে হিসেবে কাজ করছি। হয়তো আমি ওখানে ফিরে যেতে পারতাম কিংবা মুম্বাইতে কাজ করতাম, আর এই বিষয়টাকেই অনেকে স্বজনপোষণ বলে দাগিয়ে দেন। আমার অবশ্য ভালোই লাগে।”

এরপরই সাংবাদিকরা রবিনা ট্যান্ডনের মেয়ের বলিউড ডেবিউ প্রসঙ্গে ভাইজানকে জিজ্ঞেস করেন। তবে সালমান রবিনার পরিবর্তে কঙ্গনার নাম শুনতে পান। সাংবাদিকরা অবশ্য শুধরে দিতে চাইলেও ‘একরোখা’ ভাইজান সপাটে মন্তব্য করে বসেন, “কঙ্গনার মেয়ে হলে হয়তো সে সিনেমায় কাজ করবে, নয়তো রাজনীতিতে যোগ দেবে। সেটাও তো…”, ভাইজানের মুখের কথা কেড়ে সাংবাদিকরা যখন ‘নেপোটিজম’ শব্দের উল্লেখ করেন, তখন সালমানকে বলতে শোনা যায়, “হ্যাঁ, ওই হল। স্বজনপ্রীতি। আর নয়তো কঙ্গনার সন্তানকে অন্য কোনও পেশায় যোগ দিতে হবে।” সালমান বরাবরই স্পষ্টবাদী। সোজাসাপটা কথা বলেন। তাঁর চড়া মেজাজের কথাও অজানা নয় কারও। কাউকে রেয়াত করে কথা বলেন না কোনওদিনই। এবার ‘নেপোটিজম ত্বত্ত্ব’ নিয়ে বিঁধলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।

আরএ/টিএ

Share this news on: