‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে বাংলাদেশ

চীন নীতি অনুসরণ করে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের এক বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং দেশটি তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে । 

বিজ্ঞপ্তিতে চীনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছে। এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান কার্যক্রমে চীনের সমর্থনও উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে এক চীন নীতি অনুসরণ করে আসছে, যা এই যৌথ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, এই বক্তব্যটি কখনো কখনো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কখনো কখনো করা হয়নি। তবে, এটি কোনো প্রভাব ফেলে না।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপ, তবে এটি চীনের অংশ কিনা, এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক রয়েছে। চীন দাবি করে, তাইওয়ান তাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা একদিন চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত হবে। কিন্তু, তাইওয়ানে কিছু রাজনৈতিক দল এবং জনগণের একটি অংশ এটি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চান।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ান নিজেকে কিভাবে দেখে, সেই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। পরিস্থিতি বেশ জটিল এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু।

এফপি/এস এন 

Share this news on: