প্রতি বছর একসাথে ৭৫ হাজার সাপের কানাডায় একত্রিত হওয়ার কারণ কী?

দীর্ঘ দশক ধরে সাপদের একা একা বাস ও শিকারী প্রাণী হিসেবে দেখা হত। কিন্তু এখন গবেষণা বলছে, সাপেরা যে অনেকটাই সামাজিক জীবনযাপন করে, সেটা হয়তো আমাদের পুরনো ধারণাকে উল্টে দিচ্ছে।

একটি গবেষণায়, বিশেষত বাটলার’স গার্টার সাপের মধ্যে পাওয়া গেছে একটি জটিল সামাজিক কাঠামো। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে সামাজিকভাবে বসবাসরত সাপেরা ছিল শারীরিক দিক থেকেও সবচেয়ে সুস্থ। এর মানে, সঙ্গী সাথী থাকা সাপদের জন্য শারীরিকভাবে উপকারী হতে পারে।

এছাড়া, কানাডার নার্সিস স্নেক ডেনসে প্রতি বসন্তে ঘটে এমন একটি অবিশ্বাস্য দৃশ্য, যা সাপের বৃহত্তম জমায়েত। প্রতি বছর কানাডার নার্সিস স্নেক ডেনসে প্রায় ৭৫,০০০ সাপ একত্রিত হয়। এই বিশাল জমায়েত শুধুমাত্র সাপদের জন্য নয়, বরং প্রাকৃতিক বিশ্বের অন্যতম সেরা দৃশ্যের মধ্যে একটি। হাজার হাজার লাল-পাশের গার্টার সাপ একত্রিত হয়ে তৈরি করে পৃথিবীর সবচেয়ে,বড় সাপের জমায়েত যা বিজ্ঞানীদের কাছে একটি রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু কেন এত বিপুল পরিমাণ সাপ নার্সিসে সমবেত হয়? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটি তাদের প্রজনন মৌসুমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সময়ে, সাপগুলো একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে প্রজনন কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এই জমায়েতে সাপদের মধ্যে একটি অদ্ভুত সামাজিক কাঠামো তৈরি হয়, যেখানে বয়স ও লিঙ্গের ভিত্তিতে তারা নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করে। এই ঘটনাটি শুধু তাদের প্রজননের জন্যই নয়, বরং তাদের সামাজিক আচরণ সম্পর্কে নতুন তথ্যও উন্মোচন করছে।

এই নতুন তথ্য সাপের জীবনকে আমাদের কাছে একেবারে নতুন দৃষ্টিকোণে তুলে ধরেছে এবং এটি আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করছে যে, সাপেরা সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারে।
এটি প্রমাণ করে, সাপেরা যে শুধু একা একা জীবিত থাকে, এমন ধারণা ভুল। তারা আসলে একে অপরের সাথে মেলামেশা করতে পছন্দ করে, এবং এতে তাদের শারীরিক সক্ষমতা ও সুস্থতা বজায় থাকে।

সূত্র: ফোর্বস
এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুষ্টিয়ায় ঘরে ঘরে আবরার ফাহাদ জন্ম নেবে : নুসরাত তাবাসসুম Jul 09, 2025
img
যাদের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাই পিআর চায় : আমিনুল হক Jul 09, 2025
img
এসএসসি পরীক্ষার ফল জানা যাবে যেভাবে Jul 09, 2025
img
অর্থবছরের প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স এলো ৬৬ কোটি ডলার Jul 09, 2025
img
লিটন দাসের বাদ পড়া প্রসঙ্গে যা বললেন মিরাজ Jul 09, 2025
img
সকালের মধ্যে দেশের সাত জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা Jul 09, 2025
img
হৃদয়ের ওপর চাপটা দিতে চাইনি : মিরাজ Jul 09, 2025
img
নরসিংদীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে বিএনপি নেতা বহিষ্কার Jul 09, 2025
img
বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করেছিল : নাহিদ Jul 09, 2025
img
হবিগঞ্জ সীমান্তে ৮ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন বিএসএফের Jul 09, 2025
img
ফেনীর দুই উপজেলায় ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম Jul 09, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে অনুমোদনহীন ১৮৩৬ লিটার জ্বালানি তেল জব্দ Jul 09, 2025
img
আমাদের দলটা জুনিয়র এখনও, আমরা পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছি : হারের পরে মিরাজ Jul 08, 2025
img
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ আটক ২ Jul 08, 2025
img
পন্তকে ভারতের শহীদ আফ্রিদি বললেন সাবেক অধিনায়ক মুশতাক মোহাম্মদ Jul 08, 2025
img
সাংবাদিকদের ধমক দেবেন, এটা সভ্য রাজনীতির কথা নয় : ডা. জাহিদ Jul 08, 2025
img
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে এনসিপি : নাহিদ Jul 08, 2025
img
নাগার্জুনার সঙ্গে ‘কুলি’তে পর্দা শেয়ার করবেন না আমির খান! Jul 08, 2025
img
সাই পল্লবীকে সীতা চরিত্রে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে Jul 08, 2025
জিএম কাদেরকে মানসিক রোগী বললেন চুন্নু! Jul 08, 2025