উৎক্ষেপণের পরপরই ভেঙে পড়ল ইউরোপ থেকে পাঠানো প্রথম অরবিটাল রকেট। গত রবিবার (৩০ মার্চ) নরওয়ে থেকে উৎক্ষেপিত হয় মহাকাশযানটি। তবে রকেটটির নির্মাতা জার্মান স্টার্টআপ সংস্থা ইসার এয়ারোস্পেস এই উৎক্ষেপণকে সফল বলে অভিহিত করেছে।
সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ইউরোপ মহাদেশের মাটি থেকে প্রথম কোনো বাণিজ্যিক রকেট নির্মাতা উৎক্ষেপণের চেষ্টা করল।
৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই তার সলিল সমাধি হলেও কম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা এবং তাতে তারা সফল হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় নরওয়ে থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় রকেটটিকে। ইসার এয়ারোস্পেস একে সফল উৎক্ষেপণ বলে চিহ্নিত করে। তার ঠিক ৩০ সেকেন্ড পরই ‘নিয়ন্ত্রিত গতিতে’ সমুদ্রে ভেঙে পরে রকেটটি।
কম্পানির সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল মেটস্লার বলেন, ‘আমাদের প্রথম উৎক্ষেপণের চেষ্ঠা আমাদের নিরাশ করেনি। আমরা দারুণ সফল।’
এই রকেট উৎক্ষেপণযানটি ২৮ মিটার লম্বা। এর ব্যাস দুই মিটার।
এটি ৭০০ থেকে এক হাজার কেজির যানকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে।
মিউনিখের ইসার এয়ারোস্পেস ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ইলন মাস্কের স্পেসএক্স ও জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের ইউরোপীয় প্রত্যুত্তর।
জার্মান এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশনের মেরি-ক্রিস্টিন ভন হান সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে জানান, রবিবারের এই উৎক্ষেপণ জার্মান মহাকাশ গবেষণার নিরিখে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘জার্মানিতে নির্মিত এই রকেট উৎক্ষেপণ আমাদের অনেক তথ্য সরবরাহ করেছে। এই তথ্য আমাদের কাজে লাগবে।’
ইউরোপের মহাকাশ গবেষণার জন্য তিনি অন্যান্য সংস্থাকে অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য বলেন। তিনি এ-ও জানান, ইলন মাস্কের স্টারলিংকের বিকল্প থাকা প্রয়োজন।
আরএ/এসএন