বছরের যেসব দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ

আরবি সাওম বা সিয়াম মানে রোজা। কিছু দিনে রোজা পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো—

১. সাওমে বিছাল (বিরতিহীন রোজা) : সাওমে বিছাল হচ্ছে ইফতারি ও সাহরি গ্রহণ ছাড়া দিনের পর দিন রোজা পালন করা। এটি নিষিদ্ধ।
(বুখারি, হাদিস : ১৯৬৫)

২. সারা বছরের রোজা : সারা বছর রোজা পালন নিষিদ্ধ। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) সারা বছর রোজা পালন করতে চাইলে রাসুল (সা.) দাউদ (আ.)-এর রোজার কথা উল্লেখ করে বলেন, এর চেয়ে উত্তম রোজা আর নেই। (বুখারি, হাদিস : ১৯৭৬)
অন্যত্র এসেছে, যে ব্যক্তি সারা বছর রোজা রাখে, সে মূলত রোজা রাখে না। (নাসাঈ, হাদিস : ২৩৭৩)

৩. শনিবারের রোজা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের ওপর ফরজ করা রোজা ছাড়া কেউ যেন শনিবারে রোজা না রাখে।
আঙুরের লতার বাকল বা গাছের ডাল ছাড়া অন্য কিছু যদি না পায়, তাহলে সে যেন (ভঙ্গ করার জন্য) তা-ই চিবিয়ে নেয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৪৪)
ইমাম তিরমিজি (রহ.) বলেন, এই রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ হচ্ছে, শুধু শনিবারকে (নফল) রোজার জন্য নির্দিষ্ট করা। কারণ ইহুদিরা শনিবারকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকে।

৪. শুক্রবারের রোজা : জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, তিনি রোজারত অবস্থায় রাসুল (সা.)-এর কাছে প্রবেশ করেন।
তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি গতকাল রোজা পালন করেছিলে? তিনি বলেন, না। আবার জিজ্ঞেস করেন, আগামী দিন কি রোজা পালনের ইচ্ছা রাখো? তিনি বলেন, না। রাসুল (সা.) বলেন, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলো। (বুখারি, হাদিস : ১৯৮৬)
বৃহস্পতিবার অথবা শনিবার রোজা রাখার নিয়ত না থাকলে শুধু শুক্রবার রোজা রাখতে রাসুল (সা.) এই হাদিসে নিষেধ করেছেন।

৫. দুই ঈদের দিনের রোজা : ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এই দুই দিন রোজা পালন করতে নিষেধ করেছেন।
(ঈদুল ফিতরের দিন) যেদিন তোমরা রোজা ছাড়ো। আরেক দিন, যেদিন তোমরা কোরবানির গোশত খাও। অর্থাৎ ঈদুল আজহার দিন। (বুখারি, হাদিস : ১৯৯০)

৬. আইয়্যামে তাশরিকের রোজা : জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে আইয়্যামে তাশরিক বলা হয়। ঈদুল আজহার দিনের পরের এই দিনগুলোতে আরবরা গোশত শুকাত বলে এই দিনগুলোকে আইয়্যামে তাশরিক বলা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, আইয়্যামে তাশরিক হলো পানাহার ও আল্লাহর জিকিরের দিন। (মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ১৯৫২)

এমআর/এসএন


Share this news on: