টাকার বিনিময়ে পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াতে চাওয়া এজেন্ট মুঘিজ আহমেদ শেখের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের একজন সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে।
একজন ব্রিটিশ কোচকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে। যাতে তিনি তার পছন্দসই খেলোয়াড়দের টাকার বিনিময়ে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
ক্রিকেট পাকিস্তানের এক প্রতিবেদন বলছে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএ)-এর প্রধান মুঘিজ আহমেদ শেখ। পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে সংস্থাটি। এ ছাড়া ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)-এ একজন প্লেয়ার এজেন্ট হিসেবেও নিবন্ধিত মুঘিজের কোম্পানি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তদন্ত এবং একটি স্বাধীন অ্যান্টি-করাপশন ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর শেখকে ইসিবি’র দুর্নীতি বিরোধী চারটি ধারা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইসিবি ইতোমধ্যে এজেন্ট হিসেবে তার নিবন্ধন স্থগিত করেছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত শিগগিরই ঘোষণা করতে পারে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, একজন ব্রিটিশ কোচকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত ওই এজেন্ট, যাতে তার পছন্দসই খেলোয়াড়দের জন্য দলে জায়গা নিশ্চিত করা যায়। ওই কোচ এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট করেন, যার ফলে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এজেন্টের এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেটেরও। প্রতিবেদন বলছে, একজন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক, যিনি বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট দলের সেটআপে একটি উচ্চপদস্থ পদে আছেন। গুঞ্জন আছে, বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকে বিতর্কিত আইসিএ’র সাথে চুক্তিতে উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। যদিও সাবেক ওই অধিনায়কের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, ঘুষকাণ্ডে আইসিএ প্রধানকে নিয়ে বিতর্ক উঠার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি খেলোয়াড় অ্যাসোসিয়েশনটি থেকে বেরিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে আছেন আবদুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ হুরাইরা, ইরফান নিয়াজী, মোহাম্মদ আলী এবং উসামা মীর পাশাপাশি মেন্টর সরফরাজ আহমেদ এবং সাবেক ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ।
পুরো বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অভিযুক্ত ওই সাবেক অধিনায়ককে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত আসবে সেটিও জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এসএন