প্রতি বছর ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে সারাবিশ্ব একত্রিত হয়। এবারের দিবসে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃ ও নবজাতকের সুস্বাস্থ্যের ওপর। ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাবাদী ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে এই বার্ষিক উদ্যোগটি মা ও শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বছরের পর বছর ধরে চলা প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বিভিন্ন দেশের সরকার ও স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা শুধু নিরাপদ প্রসব নয়, বরং মা ও শিশুর দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
WHO আরও বলেছে, নারীদের ও নবজাতকদের সর্বত্র এমন যত্ন দেওয়া প্রয়োজন যা তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করে—জন্মের আগে, সময়টায় এবং পরবর্তীতে। এই পুরো সময়ে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে প্রসবোত্তর ধাপ পর্যন্ত, পুষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫: গর্ভাবস্থায় মূল খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা:
ছোট, ঘন ঘন খাবার খান: শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখা এবং হজমশক্তি উন্নত করা নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ছোট ছোট খাবার খান।
ফাইবার: গোটা শস্য, ডাল, ফল এবং শাক-সবজি সহ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, যা গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ সমস্যা।
প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম গ্রহণ বৃদ্ধি করুন: শিশুর বৃদ্ধি এবং হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডাল, ডিম এবং মিষ্টি আলু নিয়মিত খেতে হবে।
হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ: টক্সিন বের করে দিতে এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
চিনিযুক্ত এবং নোনতা খাবার: তৈলাক্ত, চিনিযুক্ত এবং নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার অপ্রয়োজনীয় ওজন বৃদ্ধি এবং জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন অতিরিক্ত পরিমাণে না বলুন: ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত করুন এবং অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর বিকল্পের মধ্যে রয়েছে ডাবের পানি এবং বাটারমিল্ক।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন: কাঁচা অঙ্কুরিত শস্য, রান্না না করা মাংস, উচ্চ পারদযুক্ত মাছ এবং পাস্তুরিত না করা দুগ্ধজাত দ্রব্য গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আপনার শরীরের কথা শুনুন: যদি কোনো খাবার অস্বস্তি বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, তাহলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। খাদ্যতালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।