মেঘলা আকাশ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়লেই বাঙালির হেঁশেলে প্রথম যে খাবারের কথা মনে আসে, তা হলো খিচুড়ি। একথা অজানা নয় যে, খিচুড়ি কেবল ডাল দিয়ে রাঁধা চাল নয়, তার সঙ্গে চলে আসে লাবড়া, বেগুনি, বা ভাজাভুজি। খিচুড়ির তেলতেলে নরম বা আঁটসাঁট হওয়ার পদ্ধতিতে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে, এবং বাসি খিচুড়িও আরও সুস্বাদু হতে পারে।
বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান সম্প্রতি জানিয়েছেন, সপ্তাহে পাঁচ দিন খিচুড়ি ছাড়া তার চলেই না। তিনি একে 'কমফোর্ট ফুড' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শুটিংয়ের পর বাড়ি ফিরে অল্প ঘি ছড়িয়ে খিচুড়ি খাওয়াই তার জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক খাবার।
খিচুড়ির মধ্যে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা। চালের কার্বোহাইড্রেট এবং ডালের প্রোটিন একত্রে শরীরে ঢোকে, ফলে এটি শরীরের জন্য পুষ্টিকর। খিচুড়ি খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, এবং ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। তাছাড়া, এটি তেল কম ব্যবহৃত হওয়ায় পেটের জন্য ভালো এবং দ্রুত হজম হয়।
তবে, পুষ্টিবিদরা সতর্ক করেন যে, খিচুড়ি খেতে হলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেন, "খিচুড়িতে যদি সবজি মেশানো যায়, তবে তা খুবই উপকারী। তবে, ডালের পরিমাণ বেশি হলে প্রোটিনের আধিক্য হতে পারে, যা কিছু মানুষদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।"
ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রতিদিন চালের খিচুড়ি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, রাগি, কিনোয়া বা ওটসের খিচুড়ি তাদের জন্য আরও উপকারী হতে পারে।
খিচুড়ি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার, যা সঠিক পরিমাণে ও সঠিক উপাদানে তৈরি করলে শরীরের জন্য উপকারী। তবে, একে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
এসএস/এসএন