দেশে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঘাটতি ৪.৪১% হ্রাস পেয়েছে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময় ঘাটতি ছিল ১৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টে দেখা যাচ্ছে, এ সময়ে চলতি হিসাবের ঘাটতি কমে ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগের অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার।
আবার জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত বেড়েছে ১১৬ শতাংশের বেশি। আগের অর্থবছরের আট মাসে আর্থিক হিসাবে যেখানে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল, এবার তা বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তবে ঘাটতি থাকলে তা মেটাতে ঋণ নিতে হয়।
অপরদিকে আর্থিক হিসাব করা হয় বিদেশি ঋণ ও সহায়তা, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্টের পরিসংখ্যানগুলোর যোগ বিয়োগ করে।
• চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময় রপ্তানি হয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ২৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
• বিপরীতে আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই আট মাসে আমদানি হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৪১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা।
বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “আর্থিক হিসাবের ভারসাম্যে আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মার্চ মাসে রেমিটেন্স ৩ বিলিয়ন ডলারের উপর এসেছে। তাতে মার্চে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের হিসাব চলতি মাসের থেকেই বেশি ভালো হবে আশা করা যায়।”
আরএ