কুষ্টিয়ায় প্রতিবেশী দাদার দ্বারা ধর্ষণের শিকার সেই আট বছরের শিশুর বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে মাথা গোঁজার একমাত্র টিনের ছাপড়া ঘরটি আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার আফজাল কাজীর (৫৫) ছেলে তারেক কাজীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাপরা ঘর ও পাশের রান্নার জায়গার খুপরি ঘরটির সব পুড়ে গেছে। সামান্য কিছু বাঁশের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের মাঝখানে আংশিক পোড়া অবস্থায় পরে রয়েছে বিছানা-বালিশ। তবে সে সময় ওই শিশু ও তার মা অন্যত্র ছিলেন। অন্য এক বোন ছিলেন নানাবাড়ি। আর ছোট বোন ছিলেন চাচার ঘরে।
শনিবার সন্ধ্যার পর শিশুটির বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার মাকে পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় রয়েছেন, এ বিষয়ে পরিবারের কেউ মুখ খোলেনি।
শিশুর দাদি জানান, তার নাতনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ নিয়ে মামলা হয়। ওই মামলার একমাত্র আসামি আফজাল কাজীর লোকজন আগুন দিতে পারে। আবার অন্য কেউও আগুন দিতে পারে।
শিশুর চাচা জানান, কয়েকদিন ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পরেন তারা। পরে লোকজনের চিৎকারে তিনি জেগে দেখেন তার ভাইয়ের আর কিছু নেই।
ওয়ার্ডের মেম্বর সোবহান আলী জানান, কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ওই বাড়িতে গভীর রাতে আগুন লাগবে কি করে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শোনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আফজাল কাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। এরমধ্যে হঠাৎ করে ওই বাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারেক কাজী নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে খোকসা উপজেলার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরেরদিন বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে রাতেই গ্রেফতারের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করেন গ্রামবাসী।
আরএ