গ্রীষ্মকালীন স্বাস্থ্য সমস্যা এবং প্রতিরোধের উপায়

গ্রীষ্মকাল এসে গরম, রোদ, ঘাম ও পানিশূন্যতার কারণে অনেকের শরীরে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিরা অধিক ঝুঁকিতে থাকেন। গ্রীষ্মে সুস্থ থাকতে কিছু জরুরি বিষয় মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, জেনে নিই গ্রীষ্মে সবচেয়ে বেশি যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো দেখা যায় এবং সেগুলো থেকে বাঁচার উপায়।

1. ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা)
গ্রীষ্মকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়, ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধ:
- সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, এমনকি তেষ্টা না পেলেও।
- তরমুজ, শসা এবং ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- কফি ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

2. হিট স্ট্রোক
তীব্র রোদে বেশি সময় কাটালে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে জ্বর, দুর্বলতা এবং বমি হতে পারে।
প্রতিরোধ:
- দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন।
- বাইরে গেলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।
- হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ঠাণ্ডা জায়গায় যান এবং পানি পান করুন।

3. খাদ্যে বিষক্রিয়া (ফুড পয়জনিং)
গ্রীষ্মে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং বাসি বা খোলা খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
প্রতিরোধ:
- বাসি বা খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।
- পচনশীল খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
- ফল ও সবজি ভালোভাবে ধুয়ে খান।

4. ত্বকের সমস্যা (ঘামাচি ও ফুসকুড়ি)
অতিরিক্ত ঘামের কারণে অনেকের ত্বকে ঘামাচি ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা চুলকানি এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
প্রতিরোধ:
- সুতির পোশাক পরুন, যা ত্বককে শ্বাস নিতে সাহায্য করে।
- বাইরে যাওয়ার আগে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- দিনে অন্তত দুইবার গোসল করুন, যাতে ত্বক পরিষ্কার এবং সতেজ থাকে।
গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে সুস্থ রাখতে এসব অভ্যাসগুলো অনুসরণ করুন।


এসএস/এসএন

Share this news on: