মার্চে রফতানি আয় বেড়েছে ১১.৪৪ শতাংশ

সদ্যবিদায়ী মার্চে মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৪২৪ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত মার্চে বেড়েছে দেশের রফতানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৮১ কোটি ২৩ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাত- 
মার্চে মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩০৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৮০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১৬৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, মার্চে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে। তবে কমেছে কৃষি পণ্যের। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মার্চে রফতানি হয়েছে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।

এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চে মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের বদলে বেজে উঠে আইটেম সং Sep 15, 2025
img

জামায়াত নেতা আযাদ

মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে Sep 15, 2025
img
দেশে অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে বিভক্তির রাজনীতি চলছে : মাসুদ কামাল Sep 15, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারাল ১ Sep 15, 2025
img
গত ১৭ বছর কোনো কাজ করতে পারিনি : বেবী নাজনীন Sep 15, 2025
img
ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক না করার কারণ জানালেন সূর্যকুমার Sep 15, 2025
img
বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে সনদ বাস্তবায়নে আদালতের মত চায় বিএনপি Sep 15, 2025
img
জাপানে ১০০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ Sep 15, 2025
img
জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিলের প্রস্তাব জামায়াতের Sep 15, 2025
img
দেশের শান্তি বড় শান্তি : প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img

কাতারের প্রধানমন্ত্রী

দ্বৈত নীতি বন্ধ করে ইসরায়েলকে শাস্তি দিন Sep 15, 2025
img
হেসে খেলেই পাকিস্তানকে হারাল ভারত Sep 14, 2025
img
লুৎফুজ্জামান বাবরকে স্যার স্যার করে জড়িয়ে ধরলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img

পাপিয়া

আমরা কি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা! Sep 14, 2025
img
সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলমকে শোকজ Sep 14, 2025
img
পড়ার সুযোগ পেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন না হাজার হাজার শিক্ষার্থী Sep 14, 2025
img
দীর্ঘ নয় বছর পর শিবচরে কমিটি ঘোষণা করলো বিএনপি Sep 14, 2025
ব্যাপক অভিযানে সৌদিতে গ্রেপ্তার ২১ হাজারেরও বেশি প্রবাসী Sep 14, 2025
img
৬ বিভাগে ভারি বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধসের শঙ্কা Sep 14, 2025
img
নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস নদীতে পড়ে প্রাণ গেল ১৯ জনের Sep 14, 2025