চাকরির প্রলোভনে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ

ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মলয় মন্ডল নামে এক অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সোমবার (৭ এপ্রিল) বরগুনার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ফাতেমা আকতার তামান্না।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনার গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার একমাত্র আসামি অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মলয় মন্ডল গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা।

তিনি বর্তমানে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখায় কর্মরত রয়েছেন। মামলার বাদী তামান্না বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মলয় মন্ডল বরগুনা জেলার তালতলী অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা ওষুধ বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম খানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মলয় মন্ডলের বাড়ি গোপালগঞ্জে ও সরকারি অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে তার সখ্যতা আছে এমনটা জহিরুলকে বিশ্বাস করান।

একপর্যায়ে মেয়ে তামান্নাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ব্যাংক কর্মকর্তা মলয় মন্ডল জহিরুল ইসলাম খানের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে ১৫ লাখ টাকা নেয়।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর মলয় মন্ডল বদলি হয়ে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া শাখায় যোগদান করেন। এরপর বাদী ও তার বাবা ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। তখন তিনি বার বার বলতেন, কিছু দিনের মধ্যে চাকরির ইন্টারভিউ কার্ড হাতে পাবেন।

আর ইন্টারভিউ দেওয়া হয়ে গেলেই নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন, চূড়ান্ত তালিকা হয়ে গেছে।

গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর মলয় মন্ডল বাদী ও তার বাবাকে বলেন, আপনারা তো বুঝতে পারছেন আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই। এখন চাকরি পেতে একটু দেরি হবে।

দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরে বাদীর বাবা মলয় মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে জহিরুল ইসলাম টাকা ফেরত চাইলে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

পরে বাদী মলয় মন্ডলের নিকট টাকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। ১ মার্চ ২০২৫ মলয় মন্ডল বরগুনা আসলে জহিরুলের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি তখন টাকা ফেরত চাইলে মলয় মন্ডল চাকরি দিতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

বাদী শিক্ষার্থী তামান্না বলেন, আমার বাবার তালতলী শহরে ওষুধের বড় ব্যবসা ছিল। সব কিছু শেষ করে মলয় মন্ডল গোপালগঞ্জের লোক দেখে বাবা বিশ্বাস করে আমার চাকুরির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।

চাকরির প্রলোভনে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে ব্যাংক কর্মকর্তা মলয় মন্ডল বলেন, আমি মামলার বাদী ওই নারীকে চিনি না। পরে তিনি বলেন, আমি যখন তালতলী শাখায় চাকরি করেছি তখন বাদীর বাবাকে চিনতাম। যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই আমি আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।

এসএম

Share this news on: