বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান মন্তব্য করেছেন, রাজনীতিতে ‘যৌক্তিক’ বলে কোনো শব্দের ব্যবহার চলে না। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের ইম্পেরিয়েল মেডিকেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমানে দুটি ধারা বিদ্যমান—একটি নির্বাচন কেন্দ্রিক, অন্যটি সংস্কার কেন্দ্রিক। তিনি স্বীকার করেন, সংস্কার প্রয়োজন, তবে তা সীমাহীন সময় ধরে চলতে পারে না। একটি ইসলামি দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা সবসময় ‘যৌক্তিক’ শব্দটি ব্যবহার করে, কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বলতে পারে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাজনীতিতে ‘যৌক্তিক’ বলে কিছু চলে না।”
নাসের রহমান বলেন, সময় ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে যেসব সংস্কার দরকার, তা করা যেতে পারে। কিন্তু সংবিধান সংশোধনের অধিকার একমাত্র সংসদের রয়েছে। তাই সংবিধান বাদ দিয়ে অন্য যেসব খাতে সংস্কার প্রয়োজন—দুর্নীতি দমন, পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ—তা করা যেতে পারে।
এনসিপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এই তরুণেরা নানা রকম অবাস্তব দাবি তোলে, যেমন ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ১৭-তে নামানো বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণার দাবি—যা মূলত সংবিধান সংশোধনের বিষয়।” তিনি আরও বলেন, এই দাবিগুলোর পেছনে দুজন তাত্ত্বিক রয়েছেন, যারা পর্দার আড়ালে থেকে তাদের দিয়ে এসব বলাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “এরা এমন সব দাবি করছে, যেগুলো তারা নিজেরাও পুরোপুরি বোঝে না। অথচ সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছে। এটা কি বুঝতে রকেট সায়েন্স লাগে?”
এম নাসের রহমান দাবি করেন, বিএনপি ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে ২৫০ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। আর সেই সম্ভাবনার কারণেই তাদের ভয় (ডর)। তিনি বলেন, ২০১টি আসন পেলেও বিএনপির সংবিধান সংস্কারের অধিকার থাকবে, তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না—সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা নেতারা আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মিছবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, আয়াছ আহমদ, বদরুল আলম এবং মারুফ আহমেদ প্রমুখ।
এসএস/টিএ