আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের পরও স্বস্তি নেই মোহামেডানে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ জানানোয় শাস্তির মুখে পড়েছেন দলের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ও পেসার এবাদত হোসেন।
ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন হৃদয়, ফলে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। অপরদিকে, এবাদতকে দেওয়া হয়েছে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট এবং সতর্কবার্তা। দুজনকেই আর্থিক জরিমানা করা হলেও পরে তা মওকুফ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘটে এমন ঘটনা। অষ্টম ওভারে পেসার এবাদতকে খেলতে গিয়ে প্যাডে লেগে যায় আবাহনীর ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের।
মোহামেডান খেলোয়াড়রা আবেদন করলেও ফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ সাড়া দেননি। বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি এবাদত। ক্রিজ ছেড়ে ড্রেসিংরুমের দিকে কিছুটা পথ গিয়ে থামেন তিনি। ততক্ষণে মাঠে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডে জড়াতে দেখা যায় মোহামেডান অধিনায়ককে। এক পর্যায়ে আম্পায়ারদের দিকেও আঙুল তুলে কথা বলেন তিনি। বিষয়টি ম্যাচ রেফারির দৃষ্টিগোচর হওয়াতে শাস্তি পেতে হচ্ছে তাদের।
ম্যাচ রেফারি জানান, ‘টুর্নামেন্টের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এবাদত হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও এর সঙ্গে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ নিজেদের ভুল স্বীকার করে শাস্তি কমানোর অনুরোধ করেছিলেন খেলোয়াড় ও মোহামেডান কর্তৃপক্ষ। পরে শাস্তি কমানো হয় জানিয়ে রাহুল বলেন, ‘জরিমানার অর্থ মওকুফ করা হয়েছে। তবে পরের ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে’
অর্থাৎ সুপার লিগের শুরুতে অধিনায়ককে পাচ্ছে না মোহামেডান।
আরএ